ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান, দলের ব্যাটিং অর্ডারের বড় ভরসা মানার্স লাবুশেন। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাভাবিকভাবেই তার ব্যাটে রানের আশায় থাকবে অস্ট্রেলিয়া। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কেও খুব সচেতন তারকা এই ব্যাটসম্যান। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, সবকিছুর জন্য তিনি প্রস্তুত।

আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের ওভালে শুরু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের ফাইনাল। প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল নিউ জিল্যান্ড। 

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে নামেন লাবুশেন। গুরুত্বপূর্ণ এই পজিশনে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি ৩০ ম্যাচ ব্যাটিং করে ৬২.৯১ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯৫৭ রান। তার ১০ টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই তিনে নেমে। 

কিন্তু সবশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে তেমন কিছু করতে পারেননি লাবুশেন। ভারতের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে কেবল একটি ফিফটি আসে তার ব্যাট থেকে। এবার ভিন্ন কন্ডিশনে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করার লক্ষ্য লাবুশেনের। 

“স্বাভাবিকভাবে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ নম্বরে যে-ই ব্যাটিং করুক, তার (বাড়তি) দায়িত্ব থাকবে। ২০১৯ সালে (ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ অ্যাশেজে) এই দায়িত্ব আমার ছিল, রান করা আমার কাজ ছিল। আমি যদি রান না করতাম, আমার কাজটি করার জন্য তারা অন্য কাউকে খুঁজে নিত, আমার মনে হয় না এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে।”

ফাইনালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ। দুই লড়াইয়ের জন্য অনেক আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন লাবুশেন। সতীর্থদের অনেকেই যখন ভারতে আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সে সময় তিনি খেলেন কাউন্টি ক্রিকেট।

গত দুই মাস ধরে ইংল্যান্ডে থাকা লাবুশেনের ব্যাট হাতে সময়টা ভালোই কাটছে। গ্ল্যামরগনের হয়ে ৮ ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিতে ৫০৪ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন তিনি। 

বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন ভারতের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। অফ স্পিনে অশ্বিনের শিকার ছিল সিরিজ সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট। আর বাঁহাতি স্পিনে জাদেজার প্রাপ্তি ছিল ২২ উইকেট। 

তবে এবার ইংলিশ কন্ডিশনে ভারতীয় পেসাররাও হুমকি হবেন বলে মনে করছেন লাবুশেন। 

“দুই মাস আগে আমরা ভারতের বিপক্ষে খেলছি। তখন তাদের যেমনটা দেখেছি, সেই প্রেক্ষিতে এবং তাদের ধরণ যা জানি, তাতে তারা কী করতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে। ডিউক বল হাতে পেয়ে তারা নিজেদের দক্ষতা আরও বেশি দেখাবে।”

এইচজেএস