ছবি: সংগৃহীত

দিন কয়েক আগেই 'এ' দলের হয়ে লাল বলের ক্রিকেট খেলেছেন মুশফিক হাসান। সেখানে বল হাতে যে, আহামরি কোনো পারফর্ম করেছেন তিনি তা কিন্তু না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেটের দেখা পাননি এই ডানহাতি পেসার। এর আগে সিরিজে প্রথম টেস্টে তার নামের পাশে ছিল ৩ উইকেট। মুশফিকের পরিসংখ্যানটা সাদা-মাটা হলেও জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার বড় কারণ তার প্রতিভা। সম্ভাবনাময়ী এই তরুণ পেসারের লাইন-লেন্থ আর পরিস্থিতি বুঝে বোলিং করার সামর্থ্যই বড় ভূমিকা রেখেছে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে।  

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম শেয়ার করবেন মুশফিক। এটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই স্বপ্নের মতো। ব্যাতিক্রম কিছু নয় এই পেসারের ক্ষেত্রেও। নিজের স্বপ্নের এমন মুহূর্ত সত্যি হওয়ার আগের সময়টায় তার অনুভূতি ভাগাভাগি করেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে, 'প্রথমবার যেহেতু ডাক পেয়েছি, অনেক ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ।' 

ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা শুরুর দিকে হলেও এ পর্যন্ত আসতে মুশফিককে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে তার পরিবার। তাই খুশির সংবাদটা তিনি প্রথম পাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গেই শেয়ার করেছেন, 'বাসায় জানালাম। বাবা-মা অনেক খুশি। বাবা-মা একসাথে ছিল, ওনাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা ওনাদের চাওয়া ছিল, ছেলে অনেক দূর যাবে।' 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের স্কোয়াডে আছেন পাঁচ পেসার। তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেনদের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের সঙ্গে লড়াই করেই মুশফিককে জায়গা করে নিতে হবে একাদশে। তারপরও আশাবাদী সদ্য ২১ বছরে পা দেয়া এই তরুণ পেসার। তিনি বলেন, 'আসলে একাদশে যদি সুযোগ পায় তাহলে চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার, নিজের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার অবশ্যয়।'

এদিকে মুশফিকের মতো প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, 'দুজনই অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের খেলেছে। এরপর আমাদের হাই পারফরম্যান্স বিভাগে ছিল। ‘এ’ দলের খেলায়ও যথেষ্ট ভালো করেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী ওরা দুজনই সুযোগ পেলে ভালো করবে।'

এসএইচ