খেলার অন্যতম অংশ ধারাভাষ্য। ধারাভাষ্যকারদের বর্ণনা খেলাকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য সকল ক্ষেত্র নানা স্বীকৃতির আওতায় থাকলেও ধারাভাষ্যকাররা এর আওতায় ছিলেন না। আসন্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে অষ্টম ক্যাটাগরি হিসেবে ধারাভাষ্যকার যোগ হয়েছে। অন্য সাত ক্যাটাগরি হচ্ছে-আজীবন সম্মাননা, ক্রীড়াবিদ,সংগঠক, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংস্থা, পৃষ্ঠপোষক ও সাংবাদিক।

ধারাভাষ্যকার ক্যাটাগরি পুরস্কার যোগ করা প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ক্রীড়ার সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলকেই আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি। শুধু ধারাভাষ্যটাই বাদ ছিল।  তাই এটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ধারাভাষ্যকারদেরও অবদান অনেক। তাদের ধারা বর্ণনা প্রজন্মের পর প্রজন্ম খেলাধূলায় আকৃষ্ট হয়েছে।’

আব্দুল হামিদ, মন্জুর হাসান মিন্টু, আতাউল হক মল্লিক, খোদা বখস মৃধার কন্ঠে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ইতিহাসের শুনেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। প্রয়াত এই চার খ্যাতনামা ধারভাষ্যকারের মধ্যে তিনজনই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন ইতোপূর্বে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে জীবিতদেরই দেওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। প্রবীণ ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে আলফাজ আহমেদ এখনো খেলার বর্ণনা দিয়ে চলছেন। বিশ্বে সাবেক অনেক তারকা ধারাভাষ্যকার হিসেবে নিজের পরিচিত করে তুললেও বাংলাদেশে এমন উদাহরণ তেমন নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়া ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল হওয়ায় ধারাভাষ্য নতুন মাত্রার পাশাপাশি আবার জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। 

ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। এরপরের স্তরের স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। যা এনএসসি অ্যাওয়ার্ড হিসেবে স্বীকৃত ছিল। গত দুই দশকের বেশি সময় এই পুরস্কার বন্ধ ছিল৷ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার নামে এটি ২০২১ সাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। ২০২১ ও ২২ সালে শেখ কামালের জন্মদিন ৫ আগস্ট এই পুরস্কার প্রদান করা হয়৷ 

এবার ২০২৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন/সংস্থায় চিঠি পাঠিয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন/সংস্থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নাম প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

এজেড/এফআই