হতাশা যেন কাটছেই না ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের সমালোচনায় মুখর ছিলেন তিনি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগে আরও একবার মুখ খুলেছেন। এবার তার সমালোচনার শিকার হলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়মিত এই অধিনায়ককে নিয়ে নিজের অসন্তোষ জানিয়েছেন  সাবেক এই ক্রিকেটার। 

রোহিত শর্মার কাছ থেকে আরও ভালো কিছু আশা ছিলো বলে মন্তব্য গাভাস্কারের। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতেই তো আসল পরীক্ষা। এ জায়গাটিতে আমি কিছুটা হতাশ। টি–টোয়েন্টি সংস্করণের কথা যদি বলি—আইপিএলের এত অভিজ্ঞতা, শত শত ম্যাচে অধিনায়কত্ব আর সেরা খেলোয়াড়ের মিশ্রণে গড়া দল নিয়েও ফাইনাল খেলতে না পারাটা হতাশাজনক।

আইসিসি ইভেন্টে বেশ লম্বা সময় ধরেই ব্যর্থ ভারত। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে আর শিরোপার দেখাই পায়নি ম্যান ইন ব্লু-রা। রোহিত শর্মা অধিনায়ক হয়ে আসার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গিয়েছে ভারত। যদিও শিরোপা পাওয়া হয়নি তাদের। 

আরও পড়ুন: ‘কোহলি-রোহিতরা সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছে’

লম্বা সময় ধরে শিরোপা না আসায় কোচদের উপরেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন গাভাস্কার। ব্যাটসম্যানরা দিনের পর দিন একই ভুল করলে, কোচদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি এই লিটল মাস্টারের। ‘তাদের কৌশলের কী হলো, তা জিজ্ঞাসা করতে হবে। তারা কি ব্যাটসম্যানের উন্নতি ঘটাতে চেষ্টা করেছেন। তারা কি বলার চেষ্টা করেছেন যে ব্যাটিংয়ের সময় ভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে দেখো, লেগ স্টাম্পে গার্ড নিয়ো না, মিডল বা অফ স্টাম্পে নাও।’ 

গত ৫ থেকে ১০ বছরে তার কাছে ভারতের কোন ব্যাটার পরামর্শ নিতে আসেনি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একসময় শচীন টেন্ডুলকার কিংবা রাহুল দ্রাবিড়রা পরামর্শের জন্য এলেও নতুন ব্যাটারদের কেউই নাকি গাভাস্কারের সাথে নিজেদের ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করেননি। 

তবে দলে দুজন অভিজ্ঞ কোচ থাকায় তিনি নিজ থেকেও কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নন বলে জানান এই ভারতীয় গ্রেট। ‘ কথা বলতে আমার কোনো অহংকার নেই। এগিয়ে গিয়ে কথা বলতেই পারি। তবে এখন ওদের দুজন কোচ আছে, রাহুল দ্রাবিড় আর বিক্রম রাঠোর। এমন পরিস্থিতিতে কখনো কখনো পিছিয়ে আসতে হয়। কারণ, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশি কথা বলে সংশয়ে ফেলা ঠিক নয়।’

জেএ