ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারই, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কল্যাণে সতীর্থ হয়। তবে সত্যিকার অর্থেই কি দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়? হয়তোবা হয়। অন্তত তাসকিন আহমেদ আর সিকান্দার রাজার মধ্যে সেটা হয়েছে। তাইতো সপ্তাহ খানেক আগেই বাংলাদেশী এই পেসারের সঙ্গে বুলাওয়ে ব্রেভসের ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করার আনন্দে রাজা লিখেছিলেন, 'আমার বন্ধু তাসকিন।' এবার দেশে ফিরে তাসকিন জানালেন, জিম্বাবুয়েতে হালাল খাবার খুঁজে পেতে তাকে সহায়তা করেছেন রাজা। 

এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘ভালো। উনি আসলে সব সময় অনেক সমর্থন করেছেন। আমার হালাল ফুডের জন্য অনেক কিছু আয়োজন করে দিয়েছেন। আমি তো তার থেকে বয়সে অনেক ছোট।' 

জিম আফ্রোর প্রথম আসরে খেলতে গিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন। সবমিলিয়ে আসরে ১১ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। যেখানে একাধিক ম্যাচে দলের সেরা বোলার ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে আসরের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন ছিলেন এই স্পিডস্টার। 

তিনি বলেন, 'সন্তুষ্ট যে রিদমটা ভালো হচ্ছে। আর উন্নতি হচ্ছে, এটাই। এক্সিকিউট করতে পারছি। ব্যক্তিগতভাবে হয়তো মোটামুটি ভালো টুর্নামেন্টে গেছে। কিন্তু এখনও উন্নতির লক্ষ্যেই আছি।'  

এদিকে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ থাকলেও তাকে এনওসি দেয়নি বিসিবি। মূলত তার ওয়ার্ক লোডের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত তাসকিনও।

তিনি বলেন, 'সুযোগ তো শুধু লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ না, বিশ্বের সব লিগেই আসছে এখন অবধি। এভেইলেবেলিটিটাই ইস্যু। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে, দোয়া করেন সামনে আরও বড় বড় লিগে আসবে আর সামনে আরও ভালো করতে পারি। সুস্থ থাকলে অনেক লিগ খেলতে পারবো। আর প্লাস বোর্ড থেকে যেহেতু ডিসিশন নিছে আমার এই মুহূর্তে ওয়ার্কলোড বেশি হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি তারা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছে। সব মিলিয়ে ঠিক আছে।' 

এসএইচ/এইচজেএস