পাঁচ ম্যাচ অ্যাশেজের প্রথম দুটিতেই হার ইংল্যান্ডের। ঘরের মাঠে ২০০১ সালের পর থেকে কখনোই অস্ট্রলিয়ার কাছে হারেনি ইংলিশরা। ২২ বছর ধরে যা হয়নি, সেই পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিলো তাদের। তবে হাল ছাড়েননি বেন স্টোকস আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। নিজেদের উদ্ভাবিত বাজবল তত্ত্বে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক দল। অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করা না গেলেও, শেষ ম্যাচটা জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর শেষ পর্যন্ত ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে তারা। 

এমন এক দল নিয়ে তাই ম্যাচশেষে স্টোকসের মুখে শোনা গেল আত্মতৃপ্তির সুর, ‘আমার মতে দুটো খুব ভাল দলের লড়াই হিসেবে ২-২ ফলাফল প্রমাণ করে কেউই ছেড়ে কথা বলেনি। কিন্তু ০-২ পিছিয়ে থেকে ফিরে আসা… আমার মনে হয় না যেটা করেছি আমরা তা খুব বেশি দল পারবে। তাই এখানে দাঁড়িয়ে সিরিজের ফল নিয়ে আমি খুশি।’ 

স্টোকসের মতে, চলতি অ্যাশেজ নতুন প্রজন্মকে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তুলবে, ‘আমি সত্যিই আশা করি, আমরা নতুন প্রজন্মকে অণুপ্রেরণা জুগিয়েছি। যখন আমি ২০০৫ সালের কথা ভাবি, সেই অ্যাশেজ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আশা করি, ২০০৫ সালে আমার যে বয়স, তেমন কেউ এই সিরিজ থেকে উৎসাহ পাবে।’ 

স্টোকসের সাথে খুব একটা অমত করেননি বিপক্ষ দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। অজি অধিনায়কের মতে, ‘এরচেয়ে ভাল কিছু হতেই পারেনা। ২০০৫ সালে আমি অনেক তরুণ ছিলাম। তবে সেই সিরিজ নিয়ে এখনো কথা হয়। মনে হচ্ছে, এবারের সিরিজ নিয়েও তেমন কিছু হবে।’ 

পুরো সিরিজে দলগত হিসেবেই দুই দল সাফল্য পেয়েছে বলেও মত অজি অধিনায়কের, ‘আপনি হয়ত আশা করবেন, কেউ একজন দলের প্রয়োজনে বারবার এগিয়ে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এবার তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। সবাই দারুণ খেলেছে, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছে। সবাই খেলা উপভোগ করেছে। আমি নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও এমন হচ্ছে।’ 

২-২ সমতায় সিরিজ শেষ হলেও মর্যাদার এই ট্রফি নিজের ঘরেই নিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ড্র হবার সুবাদে আগের সিরিজে বিজয়ী হিসেবেই ছাইদানি নিজেদের কাছে রাখবে অজিরা। অ্যাশেজের পরের আসর ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

জেএ