রোমাঞ্চকর ম্যাচে ওভালে ইংল্যান্ডের জয় দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দারুণ প্রত্যাবর্তন করে ইংলিশরা। বৃষ্টির বাধায় চতুর্থ টেস্ট ড্র না হলে সদ্য সমাপ্ত সিরিজটা বেন স্টোকসের দখলে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা ছিল। সবমিলিয়ে এবারের অ্যাশেজকে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বলে দাবি করেছেন দেশ দুটির অনেকেই। ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকসের মতে, এবারের অ্যাশেজ আগামী প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।

টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত ধারায় পুরো সিরিজজুড়ে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে ইংল্যান্ড লড়েছিল তাদের ‘বাজবল’ তত্ত্ব মেনে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া চতুর্থ টেস্ট বাদে প্রায় প্রতিটি ম্যাচই পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলে গড়িয়েছিল। নানা বিতর্ক ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত পর্দা নেমেছে মর্যাদাপূর্ণ এবারের অ্যাশেজের।

আরও পড়ুন >> ‘স্টোকস আবার মেসেজ করলে ডিলিট করব’

ওভালে পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড ৪৯ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়। চতুর্থ টেস্ট বৃষ্টির কারণে ড্র হওয়ায় সিরিজ শেষ হয় ২-২ সমতায়। আগের সিরিজে ঘরের মাঠে জেতায় অ্যাশেজ অবশ্য ধরে রাখে অজিরা। সেবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়ে তারা দাপুটে হার দেখেছিল। এবার তার শোধ নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে নামলেও, শেষ পর্যন্ত তেমনটা আর হয়নি।

এবারের অ্যাশেজকে নানা কারণে ২০০৫ সালের সিরিজের সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। সেবার তরুণ স্টোকস ছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের এক রোমাঞ্চিত ভক্ত, যেখানে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। সেই আসরটির মতোই এবারের অ্যাশেজও তরুণ ও নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবে বলে প্রত্যয় ইংল্যান্ড টেস্ট অধিনায়কের, ‘আমি সত্যিই আশা করি নতুন প্রজন্মকে আমরা অনুপ্রাণিত করতে পারব। যদি ২০০৫ সালে ফিরে যাই (ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল)। তরুণ হিসেবে ওই সিরিজ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তখন আমি যে বয়সে ছিলাম, আশা করছি সেই বয়সের কেউ এই সিরিজ দেখে একইরকম প্রেরণা পাবে।’

আরও পড়ুন >> শেষটা জয়ে রাঙালেন ব্রড

একইসঙ্গে সিরিজ জিততে না পারার কষ্ট ভুলে স্টোকস বলছেন, ‌‘আমি অবশ্যই মনে করি গত সাত সপ্তাহে আমরা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নতুন দর্শক টানতে পেরেছি। এটি এমন এক সিরিজ (অ্যাশেজ) যা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজন, দুটি সেরা মানের দল সমানে সমানে ছয়-সাত সপ্তাহজুড়ে লড়েছে। এরকম মানের খেলা হয়েছে আপনি চোখ সরিয়ে নিতে পারেননি।’

ড্র দিয়ে সিরিজটি শেষ হওয়াকে ন্যায্য বলে দাবি ইংলিশ অধিনায়কের, ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে এই সিরিজে এসেছিল। যে মানের ক্রিকেট এখানে প্রদর্শিত হয়েছে সেটা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। দুটি ভালো দলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজের পর আমার মনে হয় ফল ২-২ হওয়াটা খুব ন্যায্য প্রতিচ্ছবি।’

এএইচএস