অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত করেই এলো সংবাদ। আগের দিনই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাস। তাতে ওপেনিং নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছিল ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। কিন্তু এরপরেই ভেসে এলো দুঃসংবাদ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে এশিয়া কাপ শেষ না করেই ফিরে আসতে হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। 

অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নাজমুল শান্ত নিজেও স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, এশিয়া কাপে তার যাত্রা এখানেই শেষ। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ক্রিকেটারের বিকল্প কে হবেন, তা নিয়েই এখন চলছে আলোচনা।    

জাতীয় দলে এই মুহূর্তে বেড়ে গিয়েছে ওপেনারের সংখ্যা। লাহোরে এশিয়া কাপের দলে এখন স্বীকৃত ওপেনার চারজন। নবাগত তানজিদ তামিম ছাড়াও আছেন এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস এবং নাইম শেখ। এছাড়া মেক শিফট ওপেনার হিসেবে গত ম্যাচেই দারুণ সফল ছিলেন মেহেদী মিরাজ।  

লিটনকে দেখা যেতে পারে শান্তর স্থলে

শান্তর রেখে যাওয়া তিন নাম্বার পজিশনে এই তালিকা থেকেই দুজনকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রয়োজনে তিনে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে লিটনের। সদ্য সমাপ্ত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে সারে জাগুয়ার্স একাধিক ম্যাচে তাকে তিনে খেলিয়েছে। 

আরও পড়ুন>>দেশে ফিরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবেন শান্ত

বাংলাদেশের হয়ে তিনে নেমে লিটন খেলেছেন ১১ ম্যাচে। আছে এক অর্ধশতক। রান করেছেন ২০৯। ২৩ দশমিক ২২ গড় আর ৮৩ এর উপরের স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। এক ম্যাচে শূন্য থাকলেও পারফর্ম্যান্স অনুযায়ী শান্তর জায়গায় লিটনকে বিবেচনা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

এছাড়া স্কোয়াডে থাকা এনামুল বিজয়ও দুইবার খেলেছেন তিনে। তার মাঝে এক ইনিংসেই ছিল তার ফিফটি। সেই ম্যাচে ৭৩ রানে ফিরেছিলেন বিজয়। ওপেনার হিসেবে তার গড় ৩০ এর নিচে। তিনে নেমে অবশ্য গড় এবং স্ট্রাইক রেট দুই জায়গাতেই ভাল করেছেন তিনি। ৪৩ এর উপর গড় আর ৯৫ পেরুনো স্ট্রাইকরেট আছে নামের পাশে। 

২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নাম্বারে সফল ছিলেন সাকিব 

এছাড়া আগের ম্যাচে তিনে নামিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে তাওহিদ হৃদয়কে। যদিও সেই পরীক্ষায় টিম ম্যানেজমেন্ট পাশ করতে পারেনি বললেই চলে। ২ বলে শূন্য করেই ফিরেছিলেন হৃদয়। সুপার ফোরে তেমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। এমনকি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও তিনে খেলার জন্য বেশ অভিজ্ঞ। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নাম্বারে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি।   

সুপার ফোরের লড়াইয়ে বাংলাদেশ থাকছে, এটা প্রায় নিশ্চিত। বাংলাদেশ ‘এ-২’ দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সেরা চারের লড়াইয়ে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ‘এ-১’ হিসেবে কোয়ালিফাই করা পাকিস্তান। 

জেএ