প্রেমাদাসায় অধরা জয়ের দেখা পাবে বাংলাদেশ?
শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশের ক্রিকেট একেবারেই চেনা এক দৃশ্য। নিজেদের ক্রিকেট যাত্রা শুরুর পর বহুবারই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে সফর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দ্বিপাক্ষীয় সিরিজের বাইরে একাধিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে লঙ্কায় পা রেখেছে টাইগাররা। তবে এত ভ্রমণেও বাংলাদেশের কাছে রীতিমত দূর্গ হয়ে আছে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অবস্থিত প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামে ১১ ম্যাচ ওয়ানডে খেলে কোন জয় পায়নি বাংলাদেশ।
সেই প্রেমাদাসাতেই আজ আরও একবার খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আতহার আলী খান, মোহাম্মদ আশরাফুল, খালেদ মাসুদ পাইলটরা যা পারেননি সেই অধরা ওয়ানডে জিততেই আজ মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে কাজটা যে খুব একটা সহজ হবেনা তা এখনই বলা যায়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>> ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এশিয়া কাপ নিয়ে তামিম
ঐতিহাসিকভাবে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। তবে একইসঙ্গে এই পিচকে ব্যাটিংবান্ধব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। পেসারদের জন্য এখানে সুবিধা খুব একটা নেই বললেই চলে। এই মাঠে সর্বোচ্চ দশ উইকেট শিকারীর তালিকায় আছেন মাত্র তিনজন পেসার। বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের জন্য একে একপ্রকার সতর্কতা হিসেবেই দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
ব্যাটিংবান্ধব এই উইকেট কিছুটা ধীর হয়ে আসে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তখন রান তোলাও হয়ে পড়ে বেশ কষ্টকর। এই পিচে ২য় ইনিংসে গড় রানসংখ্যাও তাই ২০০ এর নিচে। পরিসংখ্যান বলছে এই পিচে গড়ে ১ম ইনিংসে রান হয় ২৩২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে তা নেমে আসে ১৯১ রানে।
ফলাফলেও তাই আগে ব্যাট করার পক্ষেই কথা বলছে। প্রেমাদাসার ১৫৫ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে জয় এসেছে ৮৪ ম্যাচে। আর পরে ব্যাট করে জয়ের ঘটনা ৬১ ম্যাচে।
কলম্বোর এই মাঠে এখন পর্যন্ত ২৩ বার ৩০০বা তার বেশি স্কোর করার ঘটনা ঘটেছে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে এখানে এমন স্কোরের সংখ্যা অনেকখানি নেমে এসেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে কেবল ৫ বারই ৩০০ এর বেশি স্কোর হয়েছে। জয়ের জন্য তাই বোলিং ইউনিটের উপরেই বেশি ভরসা করতে হবে টাইগার অধিনায়ককে।
জেএ