চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে এশিয়া কাপের প্রথম দেখায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল পরবর্তী সুপার ফোরের ম্যাচও। কিন্তু রিজার্ভ ডে’র কারণে সেই শঙ্কা থেকে দুদল রক্ষা পেয়েছে। তবে তা পাকিস্তানের জন্য হয়ে উঠেছে বিষাদময়। কারণ ভারতের কাছে যে সর্বোচ্চ রেকর্ড ব্যবধান ২২৯ রানে হেরেছে বাবর আজমের দল।

ম্যাচটি শেষে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এমন হারকে ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার।

এশিয়া কাপের আগে যেন উড়ছিল পাকিস্তান। বাইশগজে ব্যাট-বলে রাজত্ব করে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছিল বাবর আজম এন্ড কোং। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়েও অপ্রতিরোধ্য দেখা যাচ্ছিল ম্যান ইন গ্রিনদের। সব বিভাগে ধারাবাহিক দলটারই কি না শেষমেশ এমন ভরাডুবি! 

ভারতের বিপক্ষে এমন হারকে আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন শোয়েব। তিনি বলেন, পাকিস্তান বেশ অপমানজনকভাবে হেরেছে। বাবররা মাত্র ১২৮ রানে থেমে গেছে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক ব্যাপার। এত ভালো ব্যাটিং উইকেটে পাকিস্তান টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত কেন নিল? আর এত ভালো দল ভারতকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ কেন দিল? এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটু অদ্ভুতই ঠেকেছে। এর ফলও এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন: যেভাবে ফাইনালের সম্ভাবনা টিকে আছে বাংলাদেশের

তবে এক ম্যাচে ভরাডুবির কারণে পাকিস্তান খারাপ দল হয়ে যায়নি বলেও মনে করেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘এক ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানকে বাতিল করা যাবে না। যেমন এক ম্যাচ দিয়ে ভারতকেও বাতিল করার সুযোগ নেই। ভারতকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই জয় তাদের খুব ভালোভাবেই প্রাপ্য ছিল। তারা দুর্দান্ত খেলেছে। তারা ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই খুব অসাধারণ করেছে। ভারতীয় বোলিং লাইন এই বার্তা দিয়েছে যে তারা পুরোপুরি আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে খেলবে এবং উইকেট নেবে। আর আমরা দ্রুত আউট করব। তারা সেটা করেও দেখিয়েছে। একজন পেসার হিসেবে এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বুমরাহ খুবই ভালো স্পেল করছে। সিরাজও খুব ভালো করেছে।’

পাকিস্তান ইনিংসের শুরুতে বৃষ্টির বাধায় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। সে সময় এক টুইটে শোয়েব লিখেছিলেন, ‘বারসোরে মেঘা মেঘা’। হিন্দি এক গান থেকে নেওয়া এই কথা দিয়ে মূলত বৃষ্টিকে আহ্বান জানানো হয়। বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করার কথা স্বীকার করে শোয়েব বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছিলাম। ভাবছিলাম যে বৃষ্টি হয়ে যাক। জীবনটা বাঁচুক। তবে এভাবে আসলে হয় না।’

এফআই