চীন-বাংলাদেশ ক্রীড়া কূটনীতির সম্ভাবনা দেখছেন বুলবুল
পাঁচ দিনের ঝটিকা সফরে চীনের হাংজুতে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট থাকায় চীনে এসেছিলেন আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও। গতকাল রোববার ক্রিকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা হয়েছে।
চীন ক্রীড়া বিশ্বে দাপুটে এক দেশ। অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসে পদকের পর পদক জেতে দেশটি। অলিম্পিকে ক্রিকেট অর্ন্তভুক্ত হলে চীনের ক্রিকেটের চেহারা বদলে যাবে বলে বিশ্বাস আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। তিনি বলেন, 'চীন ও জাপান অলিম্পিককে বেশি গুরুত্ব দেয়। ক্রিকেট অলিম্পিকের অর্ন্তভুক্ত হলে তখন চীনের ক্রিকেটের পরিসর বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বাড়বে।'
বিজ্ঞাপন
অলিম্পিকের প্রতি চীনাদের ঝোঁক কতটা তা বোঝাতে একটি উদাহরণও দিলেন বুলবুল— 'চীনের ক্রিকেটের কাজে একবার জাভেদ মিয়াঁদাদকে এনেছিলাম। তার আট হাজারের বেশি রান, পাচঁটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসহ নানা বিষয় বর্ণনা করলাম। সব শুনে চীনারা বলল, ‘‘তার স্বর্ণপদক কয়টা?’’ মানে তারা সবকিছু অলিম্পিক কেন্দ্রিক ভাবে।'
চীনে ক্রিকেট পিছিয়ে থাকলেও ফুটবল ও অন্যান্য খেলা যথেষ্ট এগিয়ে। খেলা এখন শুধু খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। খেলার সঙ্গে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি যথেষ্ট জড়িত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন চীনের ক্রীড়াবিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করেন বুলবুল। তিনি বলেন, 'বায়োমেকানিক্সে তারা খুবই অগ্রগণ্য। অনেক দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ-পারফরম্যান্স অ্যানালিস্টরা চীনের বায়োমেকানিক্সের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশও চীনের সহায়তা নিতে পারে। এতে বাংলাদেশের খেলাধুলায় অনেক গতি আসবে।’
বিজ্ঞাপন
অন্য দেশের বায়োমেকানিক্সের চেয়ে চীন যে এগিয়ে তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বুলবুল— 'একজন অ্যাথলেট একটি স্টেপ আগালে ৫৮টি ক্যামেরা দিয়ে তার পায়ের ছাপ নেওয়া হয়। এরপর নানা আঙ্গিকে সেটা বিশ্লেষণ করা হয়।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা পায়ের ইনজুরিতে ভুগেছেন অনেক। তাকে একবার চীনে আনার পরিকল্পনা ছিল বলে জানান বুলবুল।
চীনের ক্রিকেট উন্নয়নে সহায়তা করছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটে সহায়তার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশ অন্য খেলায় চীনের সহায়তা নিতে পারে। বুলবুল বলেন, 'পিং পং ডিপ্লোমেসির বিষয়টি সবারই জানা। ক্রীড়াঙ্গনেও এটির ব্যবহার হতে পারে। চীনকে ক্রিকেটে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্য সব স্পোর্টসে নানা সুবিধা নিতে পারে। বিশেষ করে চীনে ২০টির মতো ক্রীড়াভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ক্রীড়া গবেষণা, ক্রীড়া উন্নয়নসহ নানা খাতে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে উপকৃত হতে পারে।'