এমনিতেই করোনার কারণে টালমাটাল অবস্থায় আছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। একের পর এক করোনা সংক্রমণের খবর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তবে এর মধ্যেও বসে নেই ফ্র্যঞ্চাইজিগুলো। নতুন মৌসুমে নিজেদের দলের জার্সি প্রকাশ করছে তারা। এবার টুর্নামেন্টটির দল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলবেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলি। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, তার জার্সি থেকে নেশাজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন সরানোর জন্য। সেটি মেনে নিয়ে বিজ্ঞাপন সরিয়েছে সিএসকে কর্তৃপক্ষ। তবে বিপত্তি তৈরি হয়েছে অন্যখানে।

আইপিএলের ১৪তম আসরের জন্য বিয়ার প্রস্তুতকারকদের বিজ্ঞাপন জার্সিতে নিয়ে মাঠে নামার কথা মঈনের দল চেন্নাই সুপার কিংসের। খবর ছড়িয়েছে ব্যক্তিগত জীবনে বেশ ধার্মিক মঈন তার জার্সি থেকে সে সংস্থার লোগো সরানোর জন্য অনুরোধ করেন। মঈনের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে সিএসকে। সরিয়ে নিয়েছে লোগো। এমন কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে মঈনকে নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত এক টুইট করেছেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। যদিও মঈনের জাতীয় দলের সতীর্থ আর সমর্থকদের রোষানলে পড়ে সে টুইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি। এ ঘটনার পর গোটা ক্রিকেট বিশ্ব দাঁড়িয়েছে মঈনের পাশে। সমর্থন দিচ্ছে ইংলিশ অলরাউন্ডারকে।

যদিও মঈনই প্রথম বা একমাত্র নন। এর আগে অনেক ক্রিকেটার নিজেদের জার্সিতে নেশাজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বা লোগো ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। 

সতীর্থরা বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্যাসেল লেজারের লোগো দেওয়া জার্সি গায়ে চাপালেও সেই জার্সি পরেননি দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার হাশিম আমলা। এমনকি ১৯৯৬ সালে শচীন টেন্ডুলকারও তামাকজাত কোম্পানির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। নিজ ব্যাটে সেই কোম্পানির লোগো ব্যবহার করেননি লিটল মাস্টার। 

আফগানিস্তানের বিস্ময় স্পিনার রশিদ খান ২০১৭-১৮ মৌসুমে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে গিয়ে অ্যালকোহল ব্র্যান্ড ওয়েস্ট এন্ডের বিজ্ঞাপন করতে চাননি।

এছাড়াও পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ২০১৬ সালে সিপিএল খেলতে গিয়ে অ্যাপলটন এস্টেটের লোগো দেওয়া জার্সি পরতে চাননি। দলটির আরেক ক্রিকেটার আজহার আলি ২০১৯ সালে সমারসেটের হয়ে খেলার সময় বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ট্রিবিউট আলের লোগো দেওয়া জার্সি নেননি। 

টিআইএস/এটি