শেষ ওভারে প্রয়োজন মাত্র পাঁচ রান। মালয়েশিয়ার হাতে তিন উইকেট এবং স্ট্রাইকে সেট ব্যাটসম্যান ভিরেন্দীপ সিং। এমন মুহূর্তে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাইফ হাসান শেষ ওভারে বল তুলে দিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে। 

অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তই বাংলাদেশকে পদকের লড়াইতে রেখেছে। তাই ম্যাচের পর শেষ ওভার নিয়েই বেশি কথা বলতে হয়েছে অধিনায়ক সাইফকে, ‘আমাদের বোলিং অপশন লিমিটেড ছিল। উইকেট স্লো এবং আফিফ ভালো বল করেছে তাই আফিফকেই শেষ ওভার দেয়া হয়েছে’ 

শেষ ওভারে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে থাকলেও জয়ের আত্নবিশ্বাস ছিল বলে জানান অধিনায়ক,‘ আমরা অবশ্যই ব্যাকফুট থেকে শেষ ওভার শুরু করেছিলাম এরপরও বিশ্বাস ছিল একটা উইকেট নিতে পারলে জিতব। আফিফ সেই কাজটি করেছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা কখনো ম্যাচ ছেড়ে দেইনি।’

বাংলাদেশ অত্যন্ত অভিজ্ঞ দল। এই দলের অনেক ক্রিকেটার সাকিব-তামিমদের সঙ্গে মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমন একটি দল মালয়েশিয়ার মতো আনকোরাদের সঙ্গে এত নাকানিচুবানি খেলেও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন অধিনায়ক, ‘টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান খুব সীমিত হয়। ভারতের বিপক্ষে নেপাল এক পর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মালয়েশিয়া ভালো ক্রিকেট খেলে। তাদের ছোট করে দেখার কিছু নেই।’

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। টপ অর্ডার গুটিয়ে গিয়েছিল দ্রুতই। এর কারণ হিসেবে অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে জানতাম না। আজকের ম্যাচটি আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।’ 

বাংলাদেশের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত। গেমসের ক্রিকেটের পদকের সবচেয়ে বড় দাবিদার। ৬ অক্টোবর সকালে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ নিয়ে অধিনায়কের মন্তব্য,‘ ভারত অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আমরা আগামীকাল তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করব।’ 

ম্যাচ জেতানো আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা কথা বলার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন। গেমসে আসা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় আফিফকে মিডিয়ায় কথা বলার অনুরোধ করলেও তিনি আসেননি।

এজেড/জেএ