কিছুদিন আগে সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পিচ তৈরির ক্ষেত্রে তার দেশ সুবিধা পাবে। কারণ ভারত জিতলে আইসিসির আর্থিক দিক থেকে লাভ রয়েছে। এবার মুদ্রার উল্টা পিঠ দেখালেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। রানবন্যা বইয়ে দেওয়া পিচ নিয়ে তিনি আইসিসির কড়া সমালোচনা করেছেন। এমনকি ফ্ল্যাট উইকেটে খেললে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারতের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।

চলতি বিশ্বকাপের আগেই প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে ব্যাপক রানবন্যার আভাস মিলেছিল। বিশ্বকাপ শুরু হতেই সেটি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। শুধুমাত্র চেন্নাই ও গুজরাটের পিচ দুটিতে দেখা যায়নি বড় রানের ইনিংস। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের খেলা দুটি ম্যাচে ৪২৮ এবং ৩৯৯ রান সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বেশিরভাগ ম্যাচই হয়েছে তিনশ পেরোনো। বিষয়টি কিছুতেই মানতে রাজি নন দ্রাবিড়।

ভারতীয় কোচ বলছেন, ‘আমরা যদি সব সময় ফ্ল্যাট উইকেট চাই, আর ৩৫০+ রান চাই, তাহলে আমাদের ওডিআই খেলার কি প্রয়োজন রয়েছে? টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেই তো হয়। দিল্লি আর পুনেতে ৩৫০ রানও কম মনে হচ্ছে। সেগুলো ভালো উইকেট। আবার আহমেদাবাদ, চেন্নাইয়ের পিচও ভালো। সব জায়গার পিচের চরিত্র আলাদা। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ক্রিকেটারদের অন্যান্য স্কিলগুলোও তো আমাদের উপভোগ করতে হবে, তাই না!’

কার্যত স্পোর্টিং পিচে বোলারদের সহায়তা কম থাকায় বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে তাদের বেশ সংগ্রাম করতে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে দ্রাবিড়ের মত, ‘এসব উইকেটে জাদেজা (রবীন্দ্র), কুলদীপ (যাদব), স্যান্টনার (মিচেল)-সহ অন্যদের বোলিংকেও আমাদের উপভোগ করা উচিত। যেমন ওই (চেন্নাইয়ের উইকেটে) পিচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলি (বিরাট) এবং রাহুলদের (লোকেশ) ব্যাটিংও উপভোগ করা উচিৎ। কঠিন পিচেই তো ক্রিকেটারদের আসল স্কিলটা দেখা যায়।’

নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আজ (রোববার) নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত। ধর্মশালায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। দুটি দল এখন পর্যন্ত খেলা সবকটি ম্যাচেই জিতেছে। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও টেবিলের শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, এরপরই অবস্থান ভারতের।

এর আগে চেন্নাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে মাত্র ১৯৯ রান করতে সক্ষম হন স্টিভ স্মিথরা। এর পরেই বিভিন্ন মহল থেকে চেন্নাই এবং মোতেরার পিচ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। আইসিসির পক্ষ থেকে দুটি পিচকেই ‘সাধারণ’ মানের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই দুই পিচেই গড় রান তুলনামূলক অনেক কম। বিপরীতে অন্য পিচগুলোতে নিয়মিত বড় রান উঠতে দেখে মানতে পারছেন না দ্রাবিড়।

এএইচএস