পুরো দেশের প্রত্যাশার ভার যেন নিতেই পারলো না বাংলাদেশ। একের পর এক ম্যাচে যাচ্ছেতাই পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। বড় দল তো বটেই, নেদারল্যান্ডসের মত সহযোগী দেশের কাছেও লজ্জাজনক হারের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। দলের বড় ভরসা লিটন কুমার দাসও ব্যাট হাতে খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারেননি। কিছু বড় ইনিংস খেললেও তাতে খুব একটা কাজের কাজ হয়নি। 

আর এমন অবস্থায় বিশ্বকাপে নিজের শেষ দুই ম্যাচে দেশের মানুষকে কিছু অন্তত ফিরিয়ে দিতে চান লিটন। এই দুই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভাগ্য। সেটাও মাথায় আছে এই ড্যাশিং ওপেনারের। সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আইসিসির কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন লিটন। 

আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘মানুষ মনে করে আমি ঠাণ্ডা ছেলে। আমার মনে হয় না আমি ঠাণ্ডা ছেলে। আমার মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাব বা এমন সবকিছুই আছে। আমি আসলে জানি না (কেন বলে)। ’

বিশ্বকাপে ধারাবাহিক কিছু দেখা যায়নি লিটনের ব্যাট থেকে। এমন সময়ে নিজের মানসিক অবস্থা নিয়েও আলাপ করলেন তিনি, ‘আমি নিজেকে অনুপ্রেরণা যোগাই একটা খারাপ ম্যাচের পর, নতুন দিন হিসেবে নেই। যখন সূর্য উঠে আরেকবার, এটা নতুন দিন, নতুন সুযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জ। আমার সবসময় এমন মনে হয়। আমিও ছেলেদেরকে একই রকম মানসিকতা রাখতে বলি। যখন মাঠে যাবো, সবকিছুই আলাদা। আমাদের ক্ষুদাটা থাকতে হবে এরকম টুর্নামেন্টে খেলতে হলে। এটা আমি সবসময়ই বলি। ’

‘যখন জিনিসগুলো আমার দিকে যাচ্ছে না, আমি একটা বিরতি নেই। অতিরিক্ত কিছু করি না। এটাই আমার ভাবনা। মাথায় খেলার চেষ্টা করি, বাড়তি অনুশীলন করি না। প্রতিটা দলেরই কোয়ালেটি বোলার আছে, তারা চ্যালেঞ্জিং। যখন আমি অনুশীলন করি, তখন ভাবি ম্যাচে এই ধরনের বোলারদের খেলতে হবে। ’-যোগ করেন লিটন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য জয়ের এক বড় সুযোগ। একইসঙ্গে শীর্ষ আটে থাকার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। সেই ম্যাচ নিয়েও বেশ সিরিয়াস লিটন, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটাতেই আমরা ফোকাস করছি এবং নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে চাচ্ছি। আমরা নিজেদের ১০০ ভাগ ক্রিকেটটা খেলতে পারছি না এখন অবধি। প্রতিটা দিনই নতুন চ্যালেঞ্জ, আলাদা বোলার; আমার পরিকল্পনা আছে, সেটা এই উইকেটে কাজে লাগাতে পারলে সফল হবো। ’

ভক্ত সমর্থকদের নিয়ে লিটন বলেন, ‘সমর্থকরাই আমাদের শক্তি। আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। কারণ আমরা যেখানেই খেলতে যাই, তারা সমর্থন দেয়। আমাদের হাতে এখনও দুটি ম্যাচ আছে, আমরা তাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। ’

এসএইচ/জেএ