ইংল্যান্ডের নিজেদের আবিষ্কার করা খেলা ক্রিকেট। কিন্তু সেই ক্রিকেটেরই বৈশ্বিক শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংল্যান্ডের। এমন লজ্জা থেকে ইংলিশদের মুক্তি মিলেছিল ২০১৯ সালে। চার বছর আগের সেই বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর ছিলেন বেন স্টোকস। স্টোকস এরপর অবসর নিয়েছিলেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকে। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপ উপলক্ষে নিজের প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন আবারও। 

কিন্তু প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে স্টোকস যেন ছিলেন অসহায়। ইংল্যান্ড নিজেও ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বকাপের এবারের আসরে। বিবর্ণ ছিলেন স্টোকসও। বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য ছন্দটা ফিরে পেয়েছেন স্টোকস। ডাচদের বিপক্ষে করেছেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এমন ব্যক্তিগত অর্জনের দিনে জয়ের  ধারায় ফিরেছে ইংল্যান্ডও। 

এদিন ব্যাট করতে নেমে পুনেতে যেন আরও একবার ব্যর্থতার গল্পই লিখেছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। একে একে ব্যর্থ হলেন বেয়ারস্টো, রুট, বাটলার ও মঈন আলিরা। দুইশর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। মনে হচ্ছিল, আড়াইশো পেরোনো কঠিন হয়ে যাবে ইংলিশদের জন্য।

তখনই পুনেতে শুরু হয় স্টোকসের ঝড়। ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে খেললেন মনে রাখার মতো এক ইনিংস। ৬ চার আর ৬ ছয়ের সাহায্যে ৮৪ বলে করেছেন ১০৮ রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন স্টোকস। ৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। তাতেই অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কার নিশ্চিত করেছেন এই অলরাউন্ডার। 

জেএ