স্বপ্নের এক বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তারা হারলেও, মাথা উঁচু করেই বিদায় নিয়েছে। অন্যদিকে ৫ উইকেটের জয়ে সেমিফাইনালের প্রস্তুতি ভালোভাবেই সারল টেম্বা বাভুমার দল। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রসি ভ্যান ডার ডুসেন। চলতি বিশ্বকাপে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন। 

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন (শুক্রবার) আফগানিস্তানকে বলতে গেলে একাই টানেন আজমতউল্লাহ ওমারজাই। প্রথম ওয়ানডে শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি। দলের আর কেউ ত্রিশ-ও ছুঁতে পারেনি। অন্যদিকে আফ্রিকানদের শুরুটাও মন্দ হয়নি। তবে মাঝে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায়। পুরো ম্যাচ অবশ্য ডার ডুসেনকে একা না টানতে হলেও, ম্যাচটা তিনিই টেনে গেছেন। ৯৫ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৬ রান করেন ডুসেন।

ম্যাচসেরা হয়ে ডার ডুসেনের কণ্ঠে ঝরেছে রানতাড়া করার তৃপ্তি, ‘আগে বোলিং করতে পেরে আমরা খুশি। আমরা তাড়া করার মতো একটি লক্ষ্য পেয়েছিলাম। তাদের দারুণ বোলিং আক্রমণ ছিল, সে হিসেবে আমাদের জন্যও ম্যাচ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সম্ভবত আমাদের দুয়েকটি বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে। তবে রান চেজ করতে পারায় দিনশেষে তৃপ্ত। কাউকে না কাউকেই অ্যাঙ্করিং রোল পালন করতেই হতো। তার আগে শুরুর কাজটা ভালোভাবে সামলেছেন ওপেনাররা।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও আপনি একটি দিক ভালো করলে এবং আরেকটা দিকে দুর্বলতা থেকে মানুষ কড়া সমালোচনা করবেই। রানতাড়া করতে যাওয়ার আগে আমাদের সম্ভাবনা ছিল ফিফটি-ফিফটি। এটি অবশ্যই আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। সেমিফাইনালে এটি আমরা কাজে লাগাতে চাই। কলকাতার পিচ অনেক শুষ্ক ও লোয়ার। আমরা সেখানে আগেও খেলেছি, আশা করি আগের চেয়ে সেখানে তুলনামূলক ভালো খেলতে পারব।’

এর আগে ম্যাচে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। প্রোটিয়াদের হয়ে কাজটা কিছুটা সহজ করে দিয়েছেন বোলাররা। যেখানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার জেরাল্ড কোয়েটজে। আগেই দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা প্রোটিয়াদের জন্য ম্যাচটি প্রস্তুতির ভালো সুযোগ হতে পারে। বিশেষত কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামলে তাদের দিতে হতে পারে স্পিন পরীক্ষা। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।

এএইচএস