বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফর্ম করা হয়নি পাকিস্তানের। আর এজন্য সবার অভিযোগ ছিল অধিনায়ক বাবর আজমের দিকে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্তদের কাঠগড়ায় ছিলেন তিনি। গুঞ্জন ছিল বাবরকে অধিনায়ক আর রাখা হবে না। এমনকি বাবর না চাইলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে, এমন বক্তব্যও শোনা গেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে। 

তবে সেসবের অপেক্ষা করলেন না এই ব্যাটার। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর আজম। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে দেখা করেন বাবর। নেতৃত্ব ছাড়লেও তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের পরবর্তী টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হতে পারেন শান মাসুদ, টি–টোয়েন্টির দায়িত্ব পেতে পারেন শাহিন আফ্রিদি। এর আগে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ দাবি করেছে, বাবর নিজ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিলে সেটি গ্রহণ করবে পিসিবি। অন্যথায় তার নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলেও সূত্রের বরাতে দাবি সংবাদমাধ্যমটির। 

২০১৯ সালে সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব পান বাবর আজম। এছাড়া ২০২১ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় তাকে। অবশ্য তার নেতৃত্বে এখনো শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। যদিও র‌্যাঙ্কিংয়ে বেশ কবারই দাপট দেখিয়েছে তারা।

চলতি বিশ্বকাপে দুই জয়ে শুরুর পরেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। টানা ম্যাচ হারে কঠিন হয়ে যায় তাদের অবস্থা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪ জয় নিয়ে বাদ পড়তে হয় তাদের। যদিও এই আসরে ব্যাট হাতে খুব একটা খারাপ করেননি বাবর। চার অর্ধশতক পেয়েছেন। তবে এই পারফরম্যান্স ঠিক বাবরসুলভ নয়। চারটি অর্ধশতক পেলেও একটাকেও শতক বানাতে পারেননি। দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়েছেন বেশ কয়েকবারই। সমালোচনার তীরেও তাই বারবার বিদ্ধ হতে হচ্ছে এই অধিনায়ককে। 

জেএ