কত ঝড়-ঝাপটাই না পার করে এসেছেন চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে। এরপর চার ম্যাচের একাদশেই জায়গা পাননি মোহাম্মদ শামি। একাদশে এলে তিনি কী করতে পারেন, সেটি পরের ৬ ম্যাচে ভালোভাবেই জানান দিয়েছেন। মাত্র ৯.১৩ গড়ে শামি নিয়েছেন ২৩ উইকেট। যা ১০ ম্যাচ খেলা বোলারদের ছাড়িয়ে তাকে শীর্ষে নিয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য এই বিশ্বকাপ আসরের পর তার গ্রামে নির্মাণ করা হবে ‘মিনি স্টেডিয়াম’ ও জিমনেশিয়াম। উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে।

শামি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে এক আসরে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। তার সেরা বোলিং ফিগার ৭/৫৭। যা তাকে মাত্র ১৭ ইনিংসেই ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ-সর্বোচ্চ ৫১ উইকেটশিকারের শীর্ষে বসিয়েছে। জাতীয় দলে শামির এমন অবদানের জন্য স্টেডিয়াম বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। ইতোমধ্যে এজন্য তার গ্রামে জমিও বাছাই করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বলছে, আমরোহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কুমার তিয়াগি স্টেডিয়ামের জন্য ২.৪৭ একরের বেশি জমি বাছাই করে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২০টি স্টেডিয়াম বানানোর প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটি সংযুক্ত করা হবে। শামি যেহেতু আমরোহার সন্তান ও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সরকার তাই তার সম্মানে পূর্বপুরুষের গ্রাম শাহাসপুর আলীনগরে স্টেডিয়াম বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেডিয়াম বানানোর এ প্রকল্পে জেলা প্রশাসন শামির সঙ্গে যোগাযোগ করবে। স্টেডিয়াম তৈরিতে ৫ কোটি রুপি খরচ হতে পারে বলে জানা গেছে। আর তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য শামির মা–বাবাকেও ডাকা হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তিয়াগি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামে রেসিং ট্র্যাক ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা থাকবে।’

বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চেও একইভাবে জ্বলে উঠতে চান শামি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ফাইনাল ম্যাচটি দেখানোর জন্য ইতোমধ্যে তিনি মাকে আহমেদাবাদে নিয়ে গেছেন। আগে থেকেই শামির স্বপ্ন ছিল মাকে মাঠে বসিয়ে খেলা দেখানোর। বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠায় তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ভারতীয় পেসারের মা আঞ্জুম আরাও ছেলে ও দেশের জয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। 

এএইচএস