শিরোপাখরা কাটানোর মিশনে এখন পর্যন্ত সফলই বলা চলে ভারতকে। তাদের সামনে এখন বাধা কেবল অস্ট্রেলিয়ান দেয়াল। যেটি টপকাতে পারলে ১০ বছর পর কোনো শিরোপা উৎসবে মাতবেন রোহিত-কোহলিরা। এ দফায় দলের সফলতার লক্ষ্যে যে যার ধর্ম মেনে প্রার্থনায় বসেছেন দেড়শ কোটিরও বেশি মানুষ। এই যেমন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদে পৌঁছেই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘এত মানুষের প্রার্থনা বৃথা যাবে না।’

আর অল্প সময় পরই চলতি ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আকর্ষণীয় ম্যাচটি শুরু হবে। যার জন্য অনেক আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের বাইরে জটলা পাঁকিয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকও নিশ্চয়ই থাকবে, তবে নীল সমুদ্রে তা অনেকটা নগণ্যই মনে হতে পারে! ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে এদিন সকালেই ভেন্যুতে পা রাখেন শচীন।

এরপরই স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, ‘এখানে আমার শুভকামনা ছড়িয়ে দিতে এসেছি। আশা করছি, ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হবে এবং তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে। ভক্তরা এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আর আমি আন্তরিকভাবে কামনা করছি, শত কোটির বেশি মানুষের প্রার্থনার উত্তর মিলবে আজ, সেসব বৃথা যাবে না।’

ভারতের জয় কামনা করে দেশটির নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে বিশেষ পূজা। উত্তরপ্রদেশে মোহাম্মদ শামির গ্রামে হয়েছে বিশেষ দোয়া। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে তামিলনাড়ু, সর্বত্রই চলছে বিশেষ প্রার্থনা। আর ফাইনাল জ্বরে রীতিমতো বুঁদ গুজরাটের আহমেদাবাদ। রোহিতদের সমর্থনে নানা পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে নীল জার্সিধারীদের সমাগমে ভারী হয়ে উঠেছে শহরটি।

এদিন সকাল থেকেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের বাইরে ক্রিকেটপ্রেমীদের লম্বা ভিড় জমেছে। ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে আসার কথা রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও যথেষ্ট জাঁকজমকের ব‌্যবস্থা থাকছে। সেজন্য স্টেডিয়াম এলাকায় নেওয়া হয়েছে আঁটসাট নিরাপত্তা। দেড় হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রয়েছে।

এএইচএস