অথচ বিশ্বকাপে তার থাকা নিয়েই ছিল সন্দেহ। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জেরল্ড কোয়েটজের বাউন্সারে বাম হাতে চোট পান বাঁহাতি ওপেনার ট্রাভিস হেড। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ে তার। এরপরেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। ঠিক কী কারণে রাখা হয়েছিল, তার প্রমাণ ঠিকই দিলেন ট্রাভিস হেড। 

প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নিজেকে ভালোভাবেই মেলে ধরেছিলেন। সেমিফাইনালেও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর ফাইনালে খেললেন ১৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। অথচ পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই দলের তিন উইকেটের পতন বাড়তি চাপ ফেলেছিল তার উপর। 

সেখান থেকেই মার্নাস ল্যাবুশেনকে নিয়ে খেলেছেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। দরকারে বুঝেশুনে এগিয়েছেন। আবার কখনো পাল্টা আক্রমণ করে ভারতীয় বোলারদের মনোবল ভেঙেছেন। ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি বের করে এনে ম্যাচটাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসেছিলেন এই হেডই। 

তবে শুধু ব্যাট হাতেই না, এদিন ফিল্ডিং দিয়েও নজর কেড়েছিলেন হেড। রোহিত শর্মার ক্যাচ যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিয়েছিলেন, তাতেই যেন ম্যাচের চিত্রনাট্য অনেকটা লিখে ফেলেছিল অজিরা। সবমিলিয়ে তাই হেডের হাতেই উঠল ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কার।  

জেএ