দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। ২২ দিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে আগামী ৪ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে টাইগারদের। করোনাভাইরাসের মধ্যে বিদেশ সফর, সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর নয় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের জন্য। তবে শ্রীলঙ্কায় মাঠের বাইরে তেমন পরীক্ষা দিতে হবে না সফরকারীদের। বলা যায় লঙ্কায় নিরাপদ সূচি বাংলাদেশ দলের।

নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অর্জনের খাতা একেবারেই শূন্য। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ৬ ম্যাচেই হার। সঙ্গে একাধিক ক্রিকেটারের চোট। শরীরের চোটে যতটা না ভুগতে হয়েছে, তার থেকে ঢের ভুগিয়েছে মানসিক অবসাদ। কিউই সফরে গিয়ে ১৪ দিনের হোটেলবন্দি কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছে সফরকারিদের। যার পরের সাতদিন সীমিত পরিসরে অনুশীলনের সুযোগ মিললেও দলের সবাই একসঙ্গে হতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কায় অবশ্য এমন কড়া নিয়ম নেই বাংলাদেশ দলের জন্য। মোটে ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইন। এই ৩ দিনে ২টি পিসিআর পরীক্ষায় নেগেভিট ফল এলে দলগতভাবেই অনুশীলনের সুযোগ পাবেন  তামিম-মুশফিকরা। এরপর খেলতে পারবেন ম্যাচ।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক অর্জুনা ডি সিলভা জানিয়েছেন, ‘তারা (বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ) এখানে বাংলাদেশের চেয়েও নিরাপদে থাকবে।’

ডি সিলভা নেহায়েত মন্দ বলেননি। শ্রীলঙ্কায় সূচি বাংলাদেশ দলের জন্য নিরাপদের বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দুটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে শ্রীলঙ্কা গেছে জাতীয় দল। সেখানে পৌঁছে কোয়ারেন্টাইন শুরুর আগে একবার নমুনা দিয়েছেন সফরকারীরা। এরপর উঠেছে কলম্বোর নেগাম্বুয়ার একটি হোটেলে। সেখানে ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষা হবে মুমিনুল হকদের। এই দুই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে মিলবে অনুশীলনের সুযোগ।

১৫ ও ১৬ এপ্রিল অনুশীলনের পর ১৭ ও ১৮ এপ্রিল দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি রয়েছে টাইগারদের। এরপর ১৯ এপ্রিল নেগাম্বুয়া ছেড়ে প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ছেড়ে ক্যান্ডিতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে অনুশীলের পর ২১ এপ্রিল প্রথম ম্যাচ। একই মাঠে আগামী ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজে প্রতিনিধিরা। এরপর ২২ দিনের সফর শেষ করে ৪ মে দেশে ফেরার বিমানে উঠবে বাংলাদেশ দল।

টিআইএস