প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন শরিফুল
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেল কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিলেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারালো সফরকারীরা।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসন অপরাজিত আছেন ১১ রান নিয়ে। অপর অপরাজিত ব্যাটার কনওয়ের সংগ্রহ ৮ রান। এখনও বাংলাদেশের থেকে ৩১৩ রানে পিছিয়ে আছে কিউইরা।
বিজ্ঞাপন
আগের দিনের ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম বলেই ড্যারিল মিচেলকে এক রান নিয়ে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। তবে আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন মুশফিক-শান্ত জুটি এদিন বেশি দূর এগোতে পারেনি।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন টিম সাউদি। ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন এই পেসার। লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটেরর পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন শান্ত। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ১৯৮ বলে এসেছে ১০৫ রান।
বিজ্ঞাপন
শান্ত ফেরার পর উইকেটে এসে দ্রুতই মানিয়ে নেন শাহদাত হোসেন দিপু। ইশ সোধিকে একই ওভারে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক ইনিংসের ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটার। সাজঘরে ফিরেছেন ১৯ বলে ১৮ রান করে।
শান্ত-দিপুরা দ্রুত ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশফিক। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকাও ঘুরছিল ঠিকমতোই। হাফ সেঞ্চুরি তুলে তিনি এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ৮৫তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১৬ বলে ৬৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি নুরুল হাসান সোহান। তার সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে সেই আক্ষেপ ঘুচানোর। তবে এবারও ব্যর্থ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। গ্লেন ফিলিপসকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান।
সোহান ফেরার পর নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ। ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাঈম। দশ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ডাক খেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তবে শেষ উইকেটে শরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ রান যোগ করেছেন মিরাজ।
১০ রান করে শরিফুল আউট হলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৩৮ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫০ রান করে অপরাজিত থেকেছেন মিরাজ।
এইচজেএস