বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাডবয়’ তকমাটা একান্তই নিজের করে নিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। মাশরাফি বিন মর্তুজা যাকে দেখেছিলেন এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে, সেই সাব্বির দেশের ক্রিকেট থেকে অনেকটা দূরে। মারকুটে ব্যাটার হিসেবে খ্যাতি থাকলেও ক্রিকেটের শৃঙ্খলা ভেঙে আর মাঠের বাইরের আচরণে বারবার শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কখনো পিটিয়েছেন সমর্থকদের। আবার কখনোবা করেছেন অশালীন আচরণ। 

তবে এবারের অপরাধটা যেন ছাড়িয়ে গেল সবকিছুই। কারণ অপরাধ তিনি করেছেন সুদূর ইংল্যান্ডে। আর সেটায় নিজে যুক্ত হলেও ফাঁসিয়েছেন তারই ক্রিকেট সতীর্থকে। সাব্বির ইংল্যান্ডে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছেন। তবে মামলা হয়েছে আরেক ক্রিকেটার মুক্তার আলীর নামে। কারণ আদতে সাব্বির পুরোটা সময় ব্যবহার করেছেন মুক্তারের লাইসেন্স। 

নিজের ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওতে মুক্তার নিজেই জানিয়েছেন এই ঘটনা। মুক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালেই তার গাড়ির লাইসেন্সের ছবি চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। একাধিকবার চাওয়ার পর মুক্তার লাইসেন্সের ছবি তুলে তাকে দেন। এর কিছুদিন পরেই মুক্তার এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে মামলা হয়েছে। 

মূলত সাব্বির রহমান যুক্তরাজ্যে গাড়ি চালানোর সময় অবৈধ পার্কিং এবং গতিসীমা লঙ্ঘনের দুটো আলাদা আইনভঙ্গ করেন সাব্বির। স্বাভাবিক নিয়মেই তার দেওয়া ঠিকানায় চলে যায় জরিমানার কাগজ। তবে সাব্বির সেসব পরিশোধ করেননি। ফলে মামলা হয় তার নামে। তবে লাইসেন্স যেহেতু মুক্তারের, তাই যুক্তরাজ্যে না গিয়েও আসামী হয়েছেন মুক্তার আলী। 

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চলতি বছর মে মাসে সাব্বির রহমান যুক্তরাজ্যে খেলতে গিয়েছেন। এরপরেই ঘটে এমন কাণ্ড। আর এই ঘটনার জেরে ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ এবং অন্যান্য কাজে বেশ বর রকমের জটিলতায় পড়তে পারেন মুক্তার। ফলে বিষয়টিকে মোটেই স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না এই অলরাউন্ডার। 

মুক্তার আলী বর্তমানে আছেন মালেশিয়ায়। সেখান থেকে ফিরে সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও ঘটনার মূল কেন্দ্র যুক্তরাজ্যে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখনো অজানা।

জেএ