আর্লিং হালান্ডের কারণে কত সুসময়ই না পার করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠে হোক বা প্রতিপক্ষের মাঠে, হালান্ড যেন এক গোলমেশিন। যার গোলবন্যার সুবাদে গত মৌসুমের বহুল আরাধ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তোলে ম্যানসিটি। শুধু তাইই নয়, এই হালান্ডের কারণেই ট্রেবলের স্বাদ পেয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি।  

তবে এবার হালান্ডের কারণেই কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে সিটিজেন্স কর্তৃপক্ষকে। রেফারির ওপর খেলোয়াড়দের চড়াও হওয়ার দায়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। আরও স্পষ্ট করে বললে, হালান্ডের আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই এমন শাস্তির মুখে সিটিজেন্সরা। 

ঘটনা ঘটেছিল ডিসেম্বরের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের বিপক্ষে ৩-৩ ড্র ম্যাচের শেষ দিকে ঘটেছিল এ ঘটনা। রেফারির এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তার উপর চড়াও হয়েছিলেন আর্লিং হালান্ড, মাতেও কোভাচিচ এবং রুবেন ডিয়াজ। এদের মধ্যে হালান্ডই বরং খানিক আগ্রাসী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে টুইটও করেছিলেন তিনি। 

এসব ঘটনা একেবারেই সহজভাবে নেয়নি এফএ। সিটির বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। সিটি কর্তৃপক্ষও খেলোয়াড়দের অসদাচরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার জরিমানা গুনতে হয়েছে তাদের।

স্পার্সদের বিপক্ষে ম্যাচে ৯৪ মিনিটে একেবারেই ফাঁকায় থাকা গ্রিলিশকে হালান্ড। গ্রিলিশ বল জালে জড়াতে পারলেই দুই ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখার সম্ভাবনা ছিল সিটিজেন্সদের। 

কিন্তু গ্রিলিশ বল পাওয়ার পরেই খানিক আগে হালান্ডকে করা ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারির। ম্যানচেস্টার সিটির অ্যাডভান্টেজ প্লে আটকে দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন হালান্ড। মাঠেই রেফারির সঙ্গে একচোট তর্কে জড়িয়েছেন। এরপর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমন কথা লিখেছেন, যা গালির জন্য ব্যবহার করা হয়।

এরপরেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল, এমন কাণ্ডের জন্য এফএ কর্তৃপক্ষের দেওয়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন হালান্ড কিংবা ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকেই এর ভার বহন করতে হচ্ছে। 

জেএ