চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে আছেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্ত। আগামী আইপিএল দিয়ে তার মাঠে ফেরার কথা রয়েছে। এবার ভিন্ন কারণে তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন। আরেক ক্রিকেটারের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন পান্ত। প্রতারণার দায়ে মৃণাঙ্ক সিং নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেবল পান্তের দেড়কোটি রুপি দামের ঘড়িই নয়, মুম্বাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেল তাজ প্যালেসেও বিশাল অঙ্কের বকেয়া বাকি রাখার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার মৃণাঙ্ক বিলাসবহুল জীবনধারণের প্রতি মোহাবিষ্ট ছিলেন। পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার পাশাপাশি মডেলদের সঙ্গে পার্টি ও ছবি তোলার প্রতিও ঝোঁক ছিল তার। বিভিন্ন সময়ে প্রেমিকাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণেও যেতেন। হংকংয়ের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার সময় দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বলছে, মৃণাঙ্ক বর্তমানে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে আছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, ভারত জাতীয় দলের ক্রিকেটার ঋষভ পান্তের সঙ্গেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে মৃণাঙ্কের বিরুদ্ধে। গত বছরের মে মাসে ঘটেছে এই ঘটনা। গত ডিসেম্বরে ভয়ঙ্কর এক সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে মাঠের বাইরে আছেন পান্ত। ভারতের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মৃণাঙ্কর কাছে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ রুপি খুঁইয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে তাজ প্যালেস দিল্লির চাণক্যপুরি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে মৃণাঙ্ক জুলাইয়ে এক সপ্তাহ হোটেলে থাকার পর সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি বিল পরিশোধ না করেই চলে যান বলে উল্লেখ করা হয়। পরে বিল পরিশোধ করতে বলা হলে, মৃণাঙ্ক বলেছিলেন যে অ্যাডিডাস সেই অর্থ প্রদান করবে। তা দাবি— অ্যাডিডাস তাকে স্পন্সর করছে। পরে হোটেলের কর্মীরা ব্যাংকের বিবরণ মৃণাঙ্ক সিংয়ের সঙ্গে শেয়ার করে নেন এবং তিনি তাদের একটি লেনদেন আইডি দিয়ে বলেন যে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে হোটেলটি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে দেওয়া তথ্য ভুয়া বলে জানতে পারে।

দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি রবিকান্ত কুমার জানিয়েছেন, মৃণাঙ্ক হরিয়ানা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়া তার দাবি— তিনি আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিছু হোটেলে নিজেকে কর্ণাটক পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও পরিচয় দিতেন তিনি। অন্য জায়গায় নিজেকে একজন সফল ক্রিকেটার বলেও উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি খুব সক্রিয়। নারীদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবি পোস্ট করতেন এবং বোঝাতেন তার প্রচুর ভক্ত-অনুসারী আছে। গত সোমবার হংকংয়ের বিমান ধরার সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দেন।’

এএইচএস