৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৯ রান ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১০ ওভার শেষে যা দাঁড়ায় ৫/৬৩। এমন চাপে থাকা কিউইদের কি ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত? নিয়মিত বোলাররা যেখানে ভালো করছেন, তখন নিজে বোলিংয়ে এসে দিয়ে দিলেন ১৪ রান! একটি চার ও ছক্কার বাউন্ডারি মেরেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান জিমি নিশাম। শান্ত’র হাতে অবশ্য অপশনও ছিল না তেমন, ক্রিজে দুই বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপরীতে অফস্পিনে কেবল শেখ মেহেদীর এক ওভার বাকি ছিল। তাই নিজেই আক্রমণে এসেছিলেন, যাতে হিতে বিপরীতই হলো!

পরের ওভারে অবশ্য স্বাগতিকদের লাগাম টানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১১তম ওভারে তিনি দেন মাত্র ৩ রান। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছেন নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার। বৃষ্টিবিঘ্নিত আগের ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা রিশাদ হোসেন দুই ওভারেই ১৯ রান দিয়ে বসেন। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড।

৩২ বলে কিউইদের দরকার আর মাত্র ১৬ রান, বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫ উইকেট। তবে ডিএলএস মেথডে এগিয়েই আছে কিউইরা। ১৪.৪ ওভারে ৭৮ রান করলেই স্বাগতিকদের জন্য যথেষ্ট ছিল। এর চেয়ে ১৭ রানে এগিয়ে আছে তারা। ফলে বৃষ্টিতে ম্যাচ আর মাঠে না গড়ালে নিউজিল্যান্ড বৃষ্টি আইনে জিতে যাবে।

বৃষ্টির মাত্রা কেমন– সেটি গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের ছুটোছুটি দেখলেই বোঝা যায়। মেঘ কালো করো ঝোড়ো বৃষ্টি নামতেই ফাঁকা হয়ে যায় গ্যালারির অনেকাংশ। তড়িঘড়ি করে ঢেকে দেওয়া হয় পিচও।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ম্যাচে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। ফলে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও, ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদের। এবার বৃষ্টি হয়তো তাদের হারটাই এগিয়ে এনেছে। ১১০ রানের ছোট পুঁঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন শেখ মেহেদী ও শরীফুল ইসলামরা। দুজনেই সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। উইকেট না পেলেও, মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভারে তিনি মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন।

এএইচএস