উইকেট কিংবা কন্ডিশন যেমনই হোক মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেন না, টার্ন আদায় করতে পারেন, ব্যাটারের ধরন বুঝে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনতে পারেন। তবে তার সবচেয়ে বড় অস্ত্রটা—গুগলি। সবমিলিয়ে একজন কার্যকরী লেগ স্পিনার রশিদ খান। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পার্থক্য গড়ে দেন এই আফগান লেগি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রশিদের অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর। একই সফরে ২৬ অক্টোবর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পা রাখেন রশিদ। শুরু থেকেই বল হাতে নিজের প্রতিভার ছাপ রাখেন। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে করেছেন পরিণত।

লেগ স্পিনের সঙ্গে ব্যাট হাতেও ইনিংসের শেষের দিকে ভূমিকা রাখতে পারেন রশিদ। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ এই আফগান তারকা। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে রীতিমতো হট কেক বনে গেছেন রশিদ। ৯ বছরের এই ক্যারিয়ারে বিশ্বের বেশিরভাগ ফ্যাঞ্চাইজি লিগেই পা পড়েছে রশিদের।

একটা পরিসংখ্যান রশিদের চাহিদার চিত্রটা আরো স্পষ্ট করবে—প্রায় ৯ বছরের ক্যারিয়ারে রশিদ খেলেছেন ৩০টি জার্সিতে। জাতীয় দল ছাড়াও বেশির ভাগ সময়ই তিনি ব্যস্ত থাকেন ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ কিংবা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সব জায়গায়ই কদর আছে রশিদের। 

রশিদের বয়স এখন ২৫ এর ঘরে। আর এই সময়ের মধ্যেই তিনি খেলে ফেলেছেন ৩০টি দলের হয়ে। এমনটাই ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল। আর রশিদের পারফরম্যান্স, ফিটনেস কিংবা বয়স বিবেচনায় বলাই যায় এখনই তিনি থাকছেন না। ক্যারিয়ার শেষে রশিদের নামের পাশে ৫০টা দলের নাম থাকলে কি অবাক হবেন?

এইচজেএস