২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর বিদায় বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সেসময়ের অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এরপর থেকেই অধিনায়কের পদে স্টিভেন স্মিথকেই দেখে রেখেছিলেন সবাই। স্মিথ অধিনায়ক হয়েছিলেন। একের পর এক সাফল্যও দলকে এনে দিয়েছিলেন। নিজের অধিনায়কত্বের সময়ে পুরো বিশ্বেরই অন্যতম সেরা অধিনায়ক ছিলেন তিনি। আর পারফরম্যান্সের দিক থেকেও ছিলেন অনন্য। 

তবে, সেই স্মিথই যেন এখন অধিনায়কের জায়গা থেকে অনেকটা দূরে। ২০১৮ সালে বল টেম্পারিং কাণ্ডে ক্রিকেট থেকেই নির্বাসিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর নিজের জায়গা ফিরে পেলেও, অধিনায়ক হিসেবে খুব একটা দেখা যায়নি তাকে। নিয়মিত অধিনায়কদের অনুপস্থিতিতেই কেবল দায়িত্বটা পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। 

আরও একবার তেমন ঘটনাই ঘটতে যাচ্ছে স্মিথের জন্য। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সদরে ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের ভার আবার নিচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে বল টেম্পারিং-কাণ্ডে অধিনায়কত্ব হারানোর পর গত বছর ভারত সফরেও ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ। মায়ের মৃত্যুতে কামিন্স দেশে ফিরে যাওয়ার পর দায়িত্বটা পেয়েছিলেন স্মিথ। 

এবারও প্যাট কামিন্স না থাকাতেই মূলত অধিনায়ক হচ্ছেন স্মিথ। মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে উইন্ডিজ সিরিজে ছুটি পাচ্ছেন নিয়মিত অধিনায়ক কামিন্স। দায়িত্বটা তাই নিতেই হচ্ছে স্মিথকে। এই সিরিজেই ওয়ানডে দলে একেবারে নতুন মুখ হিসেবে ফাস্ট বোলার ল্যান্স মরিসকে ডেকেছে অস্ট্রেলিয়া। বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। আবার ২০২২ সালের পর প্রথমবার ওয়ানডে দলে ঢুকেছেন ঝাই রিচার্ডসন। 

একইদিনে আরেকটি দায়িত্ব পেয়েছেন স্মিথ। গত কয়েকদিনের গুঞ্জন সত্য করে স্টিভেন স্মিথকেই দেয়া হচ্ছে ইনিংস ওপেন করার দায়িত্ব। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক জর্জ বেইলি নিজেই জানিয়েছেন এই তথ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ওপেনার হিসেবে দেখা যাবে স্টিভেন স্মিথকে।

মূলত ক্যামেরন গ্রিনের জন্য জায়গা করে দিতেই অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্ত। চার নাম্বার পজিশনে তার উপরেই লম্বা সময়ের জন্য ভরসা রাখতে চায় দেশটি। স্টিভেন স্মিথ নিজেও চার নাম্বার পজিশন থেকে নিজেকে ওপেনার হিসেবে দেখতে আগ্রহী। 

জেএ