আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। আর এই আসরকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ব্যস্ত অনুশীলন চলছে। এবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের চাপ কিছুটা হলেও কম থাকবে। কেননা রংপুর-কুমিল্লা গতবারের মতো অনুশীলন করবে তাদের মাঠে। এছাড়া খুলনা অনুশীলন করবে বিকেএসপিতে। সিলেট-চট্টগ্রাম অনুশীলন করবে পূর্বাচলে।

আজ (বৃৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে খুলনার প্রধান কোচ তালহা জুবায়ের শিষ্যদের অনুশীলন করা নিয়ে বলেন, ‘বিকেএসপিতে আমার পুরো ফ্যাসিলিটিজ পাচ্ছি। পুরো মাঠটা পাচ্ছি, আমার এখানে ইনডোর ব্যবহার করতে পারব, সেন্টার উইকেট পাব। এখানে আলাদা করে কিছু অনুশীলন করতে পারব, সবমিলিয়ে আমার প্ল্যানিং কাজে লাগানোর জন্য বিকেএসপিতে যাওয়া আসলে।’

বিপিএল এত বছর ধরে মাঠে গড়ালেও নিজস্ব কোনো মাঠ নেই কেন— এমন প্রশ্নে খুলনা কোচ জানান, ‘এটা তো আসলে আমাদের সবারই...আমি যখন খেলোয়াড় ছিলাম তখন আবাহনী ছাড়া আর কোনো মাঠই ছিল না। এখন আবাহনী মাঠেও খেলা হয়না। সুতরাং ঢাকার মধ্যে মাঠ থাকা জরুরী, আমি আশা করি একাডেমি আর একটা হচ্ছে পূর্বাচলে, ওখানে হলে অনেকটা ওভারকাম করতে পারব। কিন্তু মাঠের ইস্যুটা সবসময় আমরা সাফার করেছি। আমাদের ঢাকা শহরে মাঠ নেই, আশা করি এখান থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারব।’

এবারের বিপিএলে কেমন উইকেট প্রত্যাশা করেন, এই প্রশ্নে তালহার জবাব, ‘একটা দিক যে শীতকালে খেলা হচ্ছে, পেস বোলারদের জন্য একটু হলেও সাহায্য থাকবে এখানে আশা করি।  যেহেতু টি-টোয়েন্টি খেলা আপনি নিজেও চাইবেন না ১০০ তে অলআউট হয়ে যাক, কিংবা রান না হোক। সবাই টি-টোয়েন্টিতে চার-ছয় দেখতে আশা করে। আমি মনে করি স্পোর্টিং উইকেট থাকবে, যেখানে বোলারদের জন্যও কিছু থাকবে, ব্যাটসম্যানদের জন্যও থাকবে। কম্বিনেশনটা সমান থাকবে।’

উল্লেখ্য, ৭ দলের অংশগ্রহণে ১৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের দশম আসর। এবার মোট ম্যাচ হবে ৪৬টি। ১ মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাসের এই আসরের পর্দা নামবে। ইতোমধ্যে বিপিএলের প্রতিযোগী দলগুলো অনুশীলন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন কেবল দেশীয় ক্রিকেটাররা।

এসএইচ/এএইচএস