সিরিজের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল আগেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের ৩য় ম্যাচ ছিল নিতান্ত আনুষ্ঠানিকতা। তবে পুরো সিরিজের সবচেয়ে জমকালো ম্যাচ হলো সেটিই। সম্ভবত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই অন্যতম সেরা ম্যাচের খেতাব পাবে এটি। হাইস্কোরিং ম্যাচে উঠলো ২১২ রান। এরপর ফল নির্ধারণে এক ওভারে কাজ হয়নি। দরকার হয়েছে দুই সুপার ওভারে। 

সেখানেই ফল নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের। তবে তাতেও লেগে আছে বিতর্কের ছোঁয়া। রোহিত শর্মা দুবার ব্যাট করেছেন দুই সুপার ওভারে। এখান থেকেই মূলত বিপত্তির শুরু। প্রথম সুপার ওভারে পঞ্চম বল খেলার পর কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন রোহিত। তার মানে তিনি রিটায়ার্ড হার্ট নন, রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। আর কোনো ব্যাটার সুপার ওভারে একবার আউট হলে সে আর ব্যাট করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে রোহিতের দ্বিতীয় সুপার ওভারে ব্যাট করার সুযোগ ছিল না।

তবে রোহিত দ্বিতীয় সুপার ওভারেও ব্যাট করেছেন। দলকে জেতাতেও ভূমিকা তিনি রেখেছেন। ম্যাচশেষে তাই এই নিয়েই আলাপ হয়েছে বেশি। আফগানিস্তান কোচ জনাথন ট্রট সরাসরিই জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর নিয়ম আসলে কেমন। 

রোহিত অবশ্য নিয়ম ভাঙেননি। বরং আইসিসির করা নিয়মের ফাঁকফোকর বের করে এনেছেন। প্রথম সুপার ওভারে ভারতীয় ব্যাটাররা যখন রান তাড়া করতে নামে, সেইসময় রোহিত শর্মা ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে পরপর জোড়া ছক্কা হাঁকান। ভারতীয় ক্রিকেট দল ৫ বলে ১৫ রান করেই ফেলেছিল। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। কিন্তু, ঠিক সেইসময় রোহিত শর্মা নিজেকে রিটায়ার্ড হার্ট ঘোষণা করেন এবং মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

মূলত এখানে রোহিত ছিলেন রিটায়ার্ড নট আউট। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যাটার প্রথম সুপার ওভারে আউট না হন, তবে পরবর্তী সুপার ওভারে তিনি খেলতে পারবেন। রোহিত যদি নিজেকে রিটায়ার্ড আউট মেনে সাজঘরে ফিরতেন, তবে পরের ওভারে ব্যাট করার সুযোগ ছিল না তার সামনে। 

পুরো বিষয়টিকে চতুরতা বলেই মন্তব্য করেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এর আগে ২০২২ আইপিএলে একইভাবে ম্যাচের গুরুত্ব অনুযায়ী, নিজেকে সরিয়ে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্রাবিড় নিজেই পরে এর তুলনা দিয়েছেন সেই ঘটনার সঙ্গে।   

জেএ