বেশ হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের দৃশ্যায়ন করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। যদিও সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগে রোহিত শর্মার দল সিরিজ নিশ্চিত করেছিল। এরপর তৃতীয় ম্যাচটি আফগানদের জন্য ছিল ধবলধোলাই এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। তবে জোড়ো সুপার ওভারের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্য সহায় হয়নি। ভারত জিতেছে ১২ রানে। জয়ের দিনও লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। যেখানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে।

আফগান পেসার ফরিদ আহমেদের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন কোহলি। ফলে মিড-অফে তিনি ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ইব্রাহিম জাদরানের তালুবন্দি হন। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির ৩৫তম ‘ডাক’। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে পঞ্চমবার শূন্যতে ফিরলেন তিনি। এছাড়া ওয়ানডেতে ১৬ এবং টেস্টে ১৪ বার কোহলির এই তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শচীনকে মুক্তি দিয়েছেন তিনি।

এতদিন পর্যন্ত ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ১ থেকে ৭ নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ‘ডাক’ পাওয়ার রেকর্ডটি ছিল শচীন ও কোহলির। তবে কোহলি তার পূর্বসূরীর ৩৪তম শূন্য রানের আউটকে আফগানদের বিপক্ষের ম্যাচে ছাড়িয়ে যান। যদিও সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শূন্য রানে ফেরার তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে সবার শীর্ষে আছেন জহির খান। তিনি ৪৩ বার এবং আরেক ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৪০ বার।

এ তো গেল ভারতীয় দলের হিসাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ শূন্য রানের নজির আছে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের। তিনি সবচেয়ে বেশি ৫৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ৫৪ বার। পঞ্চাশের ওপরে এই তেতো স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা ওপেনার সনাৎ জয়াসুরিয়া (৫৩)।

সর্বোচ্চ ডাক খাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে এই কীর্তিতে যথাক্রমে অবস্থান মাশরাফি বিন মুর্তজা (৩৩), মোহাম্মদ আশরাফুল (৩১) ও মুশফিকুর রহিমের (৩১)।

এএইচএস