অনেকটা সাদামাটা আয়োজনে পর্দা উঠেছে বিপিএলের দশম আসরের। যদিও দর্শকদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মিরপুরে দর্শকদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। এমন ম্যাচে ম্যাড়ম্যাড়ে মাঠের ক্রিকেট কিছুটা হতাশ করছিল ভক্ত-সমর্থকদের। তবে কুমিল্লার ইনিংসের শেষ দিকে শরিফুলের হ্যাটট্রিক কিছুটা হলেও উজ্জীবিত করেছে ঢাকার সমর্থকদের। 

আজ (শুক্রবার) মিরপুর শের-ই-বাংলায় উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঢিমেতালেই খেলছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। সপ্তদশ ওভার পর্যন্ত কুমিল্লার উইকেটের পতন হয়েছিল মোটে একটি। যদিও সে তুলনায় স্কোরবোর্ডে তেমন রান জমা করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষ দুই ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে চ্যাম্পিয়নরা। যার মধ্যে ২০ তম ওভারে টানা তিন উইকেট হারায় তারা। 

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করেছে কুমিল্লা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ঢাকার হয়ে শরিফুল তিনটি ও তাসকিন দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

বিপিএলের সপ্তম আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক শরিফুল ইসলামের।

এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মিরপুরের পিচে ঘাস দেখে যে তার এমন সিদ্ধান্ত বলেছিলেন নিজেই। সময় যত গড়িয়েছে মিরপুরের পিচ সেই আগের মতই আচরণ করেছে।

ইমরুল কায়েসের জায়গায় চলতি আসরে নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেন লঙ্কান চতুরঙ্গা ডি সিলভা। নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১৬ বলে ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৩ রান। লিটনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও ইমরুল। দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় কুমিল্লা।

শেষ পর্যন্ত হৃদয় ফিফটি মিসের (৪১ বলে ৪৭ রান) হতাশা নিয়ে ফিরলেও চলতি আসরের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। তাসকিন আহমেদের বলে শরীফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৬ বলে করেছেন ৬৬ রান। 

অবশ্য আরও আগেই ফিরতে পারতেন ইমরুল। অষ্টম ওভারে পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদিরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিয়েছিলেন এই ওপেনার। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।

কুমিল্লার ইনিংসের ২০ তম ওভারে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলটি ছিল ডট। পরের দুই বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ মারলেন দুই ছক্কা। শরীফুলের ওভারটি তখন ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা খরুচেই। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নিলেন শরিফুল! একে একে ফিরিয়েছেন খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।

এফআই