নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিল্ডারদের একের পর এক মিসের মহড়ায় হারের দায় দিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে যে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখালো তার দল, সেই মিছিলে তিনি নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মূলত ওয়ানডাউনে খেলতে নামায় তার প্রসঙ্গ টানা। মুর্তজার রানআউটের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত দুই বিদেশি ক্রিকেটার বেন কাটিং ও বেনি হাওয়েলের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ১২০ রানের মান বাঁচানো পুঁজি পেয়েছে সিলেট।

এর আগে আজ (মঙ্গলবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিব আল হাসানকে ছাড়া নামলেও, তাদের একাদশে যুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। অন্যদিকে, আগের ম্যাচে হারের পর নতুন শুরুর আশায় ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সিলেটের শান্ত-মিঠুনরা।

ওপেনিংয়ে নামা দুই ব্যাটসম্যান শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে শেখ মেহেদীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ভুল করে বসেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি এমনভাবে সামনে এগিয়েছেন, পেছনে ফেরার সুযোগ তো কম ছিল— তার ওপর সোহান বল টেনে নিয়ে দ্রুতগতিতে স্টাম্প ভেঙে দেন। এরপরই আচমকা ওয়ানডাউনে নেমে যান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি। যদিও এর আগেও তিনি এরকম টপঅর্ডারে ব্যাট করেছেন, কিন্তু পায়ের চোট নিয়েও এই পরিস্থিতিতে তার ক্রিজে নামা কিছুটা হতবাক করার মতোই!

এরপর বলের লাইন বুঝতে কিছুটা সময় নিয়ে নেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। অন্যদিকে, বলে-ব্যাটে করতে পারছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্তও। সেই চাপ আরও বাড়ে ব্যক্তিগত ৬ রানেই মাশরাফি রানআউট হয়ে যাওয়ায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ফিরেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি, জাকির হাসান ও শান্ত। বেশ কিছুটা সময় ক্রিজে থাকলেও শান্ত নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ২৪ বলে তিনি একটি চারের বাউন্ডারিতে মাত্র ১৪ রান করে হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ আউট হন। এছাড়া ৯ রানে রাব্বি এবং মাত্র ১ রানে মোহাম্মদ নবির বলে স্টাম্পিং আউট হন জাকির।

৮.২ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একেবারে খাদে পড়ে যায় সিলেট। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়ে নিজেদের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি দুই বিদেশি ক্রিকেটার হাওয়েল ও কাটিং। রিপন মন্ডলের বলে ক্যাচ আউটের আগে হাওয়েল ৩৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। তিনটি চার ও এক ছক্কায় অজি ব্যাটার কাটিং সমান ৩১ বলে করেন ৩১ রান। এছাড়া সিলেটের আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী ও রিপন মন্ডল। এছাড়া মোহাম্মদ নবি ও হাসান মুরাদ একটি করে শিকার ধরেছেন।

এএইচএস