আজকের (শনিবার) ম্যাচের পর কার্টিস ক্যাম্পারকে বেশ ভালোভাবেই মনে রাখার কথা ফরচুন বরিশালের। বরিশালের ওপর যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই অলরাউন্ডার দারুণ তাণ্ডব চালিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ৯ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর বল হাতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। পরবর্তীতে ম্যাচ শেষে সিলেটের উইকেটের প্রশংসা করতে ভোলেননি আয়ারল্যান্ডের এই ক্রিকেটার।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম ও বরিশাল। বরিশাল হারলেও চলমান বিপিএলের অন্যতম হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ উপহার দিয়েছে। এই ম্যাচে উঠেছে দশম আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। চট্টগ্রামের নেওয়া ১৯৩ রানের জবাবে চট্টগ্রাম থামে ১৮৩–তে। ফলে বরিশাল ১০ রানে হেরে টানা পরাজয়ের হ্যাটট্রিক গড়েছে।

ম্যাচসেরা হওয়া চট্টগ্রামের অলরাউন্ডার ক্যাম্ফার বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে গত গ্রীষ্মে আমরা এখানে ছিলাম, লম্বা সফর ছিল। গত বছরের বিপিএলেও খেলেছি আমি। ওই অভিজ্ঞতাগুলো বুঝতে শিখিয়েছে উইকেট কীভাবে আচরণ করে। এরপর ঢাকা থেকে এখানে আসা, যেখানকার উইকেট খুব ভালো। ভালো বাউন্স আছে এখানে।’

‘আরও বেশি অভিজ্ঞতা ও শেখার জায়গা এটা। অনেক খেলোয়াড় এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছে, আমার মনে হয় দল হিসেবেও আমরা ওপরে উঠছি, আর সুন্দরভাবে এগোচ্ছি। দেশের বাইরে এসে শেখা ও চ্যালেঞ্জ নেওয়া, ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা ভালো ব্যাপার’, আরও যোগ করেন ক্যাম্ফার।

বাংলাদেশকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলেও মনে করেন ক্যাম্ফার, ‘এটা খুব ভালো যে এখানে বেশ ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয় আমি ২৫-২৬টা ম্যাচ খেলেছি বাংলাদেশে। ফলে এটা এমন একটা দেশ, যেটাকে আমার নিজের মনে হয়। আমার নিজেকে এখানে বড় হতে দেখা, আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরোনো, বাংলাদেশে নানান জায়গায় যাওয়া এটা সুন্দর ব্যাপার। এটা এমন একটা দেশ যেটাকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলতেই পারি; কারণ এখানকার মতো এত সময় আর কোথাও কাটাইনি। এখানকার সংস্কৃতি, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমার খেলাকে আরও ভালো করার চ্যালেঞ্জ জোগায়।’

ব্যাট-বলে পারফর্মের পাশাপাশি ম্যাচটিতে ফিল্ডিংয়েও নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল ক্যাম্ফারের। তিনি একাই নিয়েছেন চারটি ক্যাচ, যেখানে একটি ক্যাচ ছিল নিজের বলেই। 

এসএইচ/এএইচএস