আবারও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হতে যাচ্ছেন জয় শাহ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার তিনি এশিয়ান ক্রিকেটের এই গুরুদায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। আজ (বুধবার) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তার এই দায়িত্ব অনুমোদন পাওয়ার কথা জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

জানা গেছে, এসিসির এজিএমে সভাপতি পদে জয় শাহ’র নাম প্রস্তাব করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাম্মি সিলভা। বাকি সদস্যরাও সর্বসম্মতিক্রমে সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন। ফলে তৃতীয়বার এসিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এই সচিব। জয় শাহ’র আগে মহাদেশীয় এই ক্রিকেট সংস্থার প্রধান ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এসিসির দায়িত্ব পেয়েছিলেন জয় শাহ। সভাপতি পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে কম বয়সী। ওই পদে তার দ্বিতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছর চলছে। এরই মাঝে তৃতীয় দফায় আবারও তাকে মহাদেশীয় ক্রিকেটে প্রধান নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় দেখা যাবে।

কথিত রয়েছে— এশিয়ান ক্রিকেটের শীর্ষপদে যখন প্রথমবার জয় শাহ দায়িত্ব পান, ওই সময় সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার অসুস্থতার জন্যই জয় শাহকে এশীয় ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষপদে বসানো হয়। এরপর ২০২২ সালে মেয়াদ বাড়ানো হয় তার। এবার আরও একবছরের জন্য জয় শাহ’র কাজের মেয়াদ বাড়ল।

জয় শাহ এসিসি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কাগজে-কলমে সুবিধা হবে ভারতীয় ক্রিকেটের। এর আগের বছর এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে যখন জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তখন জয় শাহই প্রভাব খাটিয়ে এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে শ্রীলঙ্কায় সরাতে সাহায্য করেন। হাইব্রিড মডেলে হয় ওই টুর্নামেন্ট। ২০২৫ সালে ফের পাকিস্তানের দায়িত্বে পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে এশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে চেয়েছিল ভারত।

নতুন করে এসিসির দায়িত্ব পাওয়া জয় শাহ জানিয়েছেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখায় এসিসি বোর্ডের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই অঞ্চলে খেলার সর্বাত্মক উন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যেখানে এখনও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে আমরা মনোযোগ দেবো। পুরো এশিয়াতেই ক্রিকেটের চর্চা অব্যাহত রাখতে কাজ করবে এসিসি।’

এএইচএস