দুইশোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। দলীয় শতরানের আগেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে হারায় স্বাগতিকরা। দলের বিপদে হাল ধরেন শন অ্যাবট। আটে ব্যাট করতে নেমে খেললেন ৬৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। পরে বল হাতেও নিলেন ৩ উইকেট। অ্যাবটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া।

আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা ৮৩ রানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়দের। মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডে ৮ উইকেটে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে ২৯ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপটা আরও দীর্ঘায়িত হলো উইন্ডিজদের।

সিডনিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার অভিষিক্ত ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে ১০ ও জশ ইংলিশকে ৯ রানে শিকার করেন পেসার আলজারি জোসেফ। চার নম্বরে নামা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে ৫ রানে বিদায় দেন পেসার ম্যাথু ফোর্ড।

বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়ে ক্যামেরুন গ্রিন ৩৩, মার্নাস লাবুশেন ২৬, ম্যাথু শর্ট ৪১ ও অ্যারন হার্ডি ২৬ রানে আউট হন। এতে ১৬৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দুইশ’র আগে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে অষ্টম উইকেটে অভিষিক্ত উইল সাদারল্যান্ডের সাথে ৬৫ বলে ৫৭ এবং নবম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পাকে নিয়ে ১৭ বলে ২৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন অ্যাবট। ৯ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় অজিরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম ম্যাচে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করা অ্যাবট ৬৩ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার গুদাকেশ মোতি ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। টপ অর্ডারে  ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে লড়াই করার চেষ্টা করেন তিন ব্যাটার- অধিনায়ক শাই হোপ, কেসি কার্টি ও রোস্টন চেজ। কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। হোপ ২৯, কার্টি ৪০ ও চেজ ২৫ রান করেন। লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটাররাও ব্যর্থ হলে ৩৯ বল বাকি রেখে ১৭৫ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জস হ্যাজলউড ও অ্যাবট ৩টি করে এবং সাদারল্যান্ড ২টি উইকেট নেন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী ক্যানবেরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।