রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আজ (শনিবার) পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুর রাইডার্সের কাছে শুভাগত হোমের দল ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। প্রথমে ব্যাট করা রংপুরের পুঁজি ছিল ২১১ রানের। জবাবে নির্ধারিত ওভারে চট্টগ্রাম ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। পরাজিতদের হয়ে প্রথমে রান করতে হিমশিম খাওয়া সৈকত আলি শেষদিকে ব্যাটিং ঝড়ে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।   

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সৈকতের কাছে জানতে চাওয়া হয় রান বেশি হয়ে গিয়েছিল কি না। জবাবে ৬৩ রান করা সৈকত বলেন, ‘হ্যাঁ, আসলে দুইশর ওপরে রান মিরপুরে একটু টাফ। আমাদের বোলাররা পুরো টুর্নামেন্টে খুবই ভালো বোলিং করেছেন। আমরা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছি, এর মাঝে প্রথমটি বাদে বাকি সবগুলো বলতে গেলে বোলাররাই জিতিয়েছে। একটা দিন হতে পারে আমরা সেভাবে ভালো বোলিং করতে পারিনি। তবে উইকেটটা ভালো ছিল।’

শুরুতে ব্যাট হাতে রান না পাওয়ার কথাও স্বীকার করেন সৈকত, ‘আমি আজ প্রথমবার ওপেন করলাম। আমি জাস্ট একটা মোমেন্টাম খুঁজতে ছিলাম। আর ওই সময় সাকিব ভাই এবং শেখ মেহেদী হাসান খুব ভালো বোলিং করছিল, প্রথম ছয় ওভার। আমাদের যখন জশ ব্রাউন এবং টম ব্রুস আউট হয়ে যায়, তখনও চেষ্টা করেছি অযথা উইকেট ছুড়ে না আসতে। চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম খুঁজে পেতে।’

সংবাদ সম্মেলনে সৈকত আলি

ইমরান তাহিরকে ছয় মেরেই মোমেন্টাম পাওয়ার কথা জানান সৈকত, ‘যখন ইমরান ভাইকে ছয় মারলাম, তখন আমি ভাবলাম যে আমি মোমেন্টাম পেয়ে গেছি। তখন চেষ্টা করেছি। শুরুর দিকেও চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাকিব এবং মেহেদী খুব ভালো বোলিং করেছে, তাদের সবাই ভালো বোলিং করেছে।’

নিজেদের হারের জন্য রংপুরের বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন সৈকত, ‘রংপুরের সবাই ভালো বোলিং করেছে। আপনি দেখেন ওদের প্রত্যেকটা বোলারই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। আমরাও চেষ্টা করেছি। যখন আমাদের প্রথম দুই তিনটি উইকেট পড়ে যায়, তখন রানরেট অনেক স্লো হয়ে গিয়েছিল।’

এসএইচ/এএইচএস