বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। জাতীয় সংসদের সদস্যপদ ছাড়াও এখন পালন করছেন সংসদীয় হুইপের দায়িত্ব। এরইমাঝে রাজনৈতিক আরেকটি পদ যুক্ত হয়েছে তার সঙ্গে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। গত বছর দায়িত্ব পেলেও গতকাল এই কমিটি পূর্ণাঙ্গতা পেয়েছে। 

আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটি ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট। এই কমিটির চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম সাধারন সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু। কো-চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী পন্থি প্রবীণ সংগঠক বাফুফের সর্বাধিকবারের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি এই কমিটির সদস্য সচিব। 

তিন জন ছাড়া বাকি ১৫৪ জন কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এই কমিটির সদস্য হয়েছেন সদ্য সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ক্রিকটে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। সাকিব আল হাসান ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন অনেক সাবেক তারকা ক্রীড়াবিদ। সাবেক ক্রীড়াবিদের মধ্যে তারকা ফুটবলাদের সংখ্যাই বেশি। দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, আব্দুল গাফফার, শেখ আসলাম, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, খুরশিদ আলম বাবুল, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি।

সাবেক ক্রীড়াবিদ ছাড়াও রয়েছেন ক্রীড়া সংগঠকরাও। বিসিবি'র অন্যতম পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, রোলার স্কেটিংয়ের সংগঠক আহমেদ আসিফুল হাসান, আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর আসাদুজ্জামান বাদশা সহ আরো অনেকে। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন হারুনুর রশিদ। তার বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুল গাফফারই ক্রীড়াঙ্গনে অসুস্থ এবং দুস্থ ব্যক্তিদের সহায়তার কাজটি সমন্বয় করতেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা নতুন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হলেও ক্রীড়াঙ্গনের কাজ-কর্মে  গাফফারকেই বেশি সক্রিয় দেখা যায়। অসঙ্গতি-সাহায্য সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অনেকেই গাফফারের শরণাপন্ন হন। তিনিও সাধ্যমত সমন্বয়ের চেষ্টা করেন।

কমিটিতে যারা রয়েছেন

জাহিদ আহসান রাসেল, শিবলী সাদিক, নাহিদা আক্তার, তামান্না নুসরাত বুবলী, রাকিবুল হাসান, দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল, ফজলুল হালিম রানা, ইমাউল হক সরকার টিটু, নজরুল ইসলাম, আসিফ ইমতিয়াজ, আবদুল গাফফার, মোজাম্মেল হক মঞ্জু, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, সত্যজিৎ দাশ রুপু, হাফিজ খান মিলন, খুরশীদ আলম বাবুল, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, আকরাম খান, মো. রফিক, আশিকুর রহমান মিকু, আব্দুস সামাদ, মো. ইলিয়াস হোসেন, কাজী ইনাম আহমেদ, আহম্মেদ আসিফুল হাসান, মোহাম্মদ মশিউর রহমান খোকন, আসাদুজ্জামান বাদশা, ফিরোজ মাহমুদ হোসেন টিটু, রাজিব আহমেদ রাসেল, জাবেদ সিদ্দিকী, এস এম ফয়সাল আহম্মেদ রানা, গোলাম রব্বানী, আল নাহিয়ান খান জয়, লেখক ভট্টাচার্য, শাহরিয়ার আজম মুন্না, শাহীন আহম্মেদ, এজাজ মোহাম্মদ, মোস্তফা জামান লিটন, লায়ন ইকজয়াবাল লতিফ, বেলায়েত হোসেন অপু, মাহমুদ আল ফারুক প্রিন্স, মানস দাস ধলু, মামুনুল হক চৌধুরী, পুনম শারমিন ঝিলমিল, হারুনুর রশীদ, অহিদুজ্জামান রাজু, মেজবাহ উদ্দিন শফি, আবুল বাশার, সৈয়দ রাসেল, মো. আলমগীর হোসেন, ডা. মো. রিজওয়ানুল আহসান বিপুল, আক্তার হোসেন, মাহমুদুল হাসান আনোয়ার, আনোয়ার হোসেন আনু, ডা. ওমর ফারুক, দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন রাজন, অয়ন ওসমান, মো. ওবায়দুর রহমান বিপ্লব, মাশরাফী হিরো, মো. নূর আলম ভূঁইয়া রাজু, জামসেদ আলম, আরিফুর রহমান লিমন, রইচ উদ্দিন ফকির, গোলাম সারওয়ার চৌধুরী মুরাদ, মো. নাজমুল আহসান, কামরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম খান বাবলু, শফিউল আলম জুয়েল, শাহাদাত হোসেন, মো. ফকরুদ্দিন মিয়া, মো. সাইফ উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ হোসেন, মো. আশরাফুল আলম, আব্দুর জব্বার রাজ, জিহান আল রশিদ, এস এম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, নুরুল আজীম রনি, হায়দার মো. জিতু, মাহাবুবুল এহসান রানা, ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী নিকু, নজরুল ইসলাম বিপ্লব, সৈয়দা নিগার সুলতানা, কামাল হোসেন পলাশ, মো. মোস্তফা কামাল হুমায়ুন হিমু, মাইনদ্দিন শিকদার, হাবিউল্লাহ লিটন, মো. তুহিন মিয়া ভুঁইয়া, আশরাফ হায়দার, শিথীন মন্ডল, মো. মফিজুল ইসলাম জুয়েল, মাজহারুল ইসলাম তুহিন, আব্দুর রব সুফল, শেখ জামিল, সুলতান রাজিবুল আলম, মো. কামাল হোসেন, জাবেদ হাবিব তালুকদার, মো. তাহেরুল আলম চৌধুরী স্বপন, মো. আউরঙ্গজেব, মো. আতিকুজ্জামান আতিক, ডা. মোস্তফা শাদমান সাকিব, বাহার উদ্দিন রেজা (বীর প্রতীক), এস এম আনিছুর রহমান খোকন, তাহসিন আলম, পারভেজ জামান, শিপংকর শীল, আজিজুর রহমান খান তামিম, দিদারুল আলম, জেসমিন আক্তার, সায়মা আক্তার প্রমি, দুলাল হোসেন ও পার্থ প্রতীম সিংহ প্রমুখ।

এজেড/জেএ