ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পিএসএল নিয়ে ব্যস্ত পাকিস্তানের ক্রিকেট। অবশ্য দেশটি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা খেলছেন পিএসএলে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে আসরটিকে প্রস্তুতি মঞ্চ মনে করছেন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানও এখান থেকে উপযুক্ত খেলোয়াড় নিয়ে বিশ্বকাপের স্কোয়াড গড়তে চায়। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি।

তার নেতৃত্বে পিএসএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স ইতোমধ্যে নবম আসরের দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। যদিও দু’বারই তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছে দলটি। এজন্য কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন শাহিন। একইসঙ্গে ফর্মহীন সময় কাটানো হারিস রউফও দ্রুততম সময়ে ফর্মে ফিরবেন বলেই তিনি আশাবাদী।

শাহিন বলেন, ‘রশিদ খান আমাদের প্রধান বোলার, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মিডল ওভারে সে উইকেট নিতে পারত। তার বিকল্প হয় না, কিন্তু আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করা দরকার দলে। আশা করি সিকান্দার রাজার আগমন আমাদের উপকৃত করবে। সে আসলে রশিদের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবে। এছাড়া সালমান ফাইয়াজ পিএসএলের প্রথম ম্যাচ খেলল, রাজার সঙ্গে তার জুটিতে ভালো পারফর্ম আশা করছি।’

জাতীয় দলের পর পিএসএলেও কঠিন সময় পার করছেন পেসার হারিস রউফ। সম্প্রতি পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া এই ক্রিকেটার পিএসএলেও সুবিধা করতে পারছেন না। দুই ম্যাচেই তিনি বেশ খরুচে ছিলেন। তবে তিনি ভালোভাবেই কামব্যাক করতে পারবেন বলে আশা শাহিনের, ‘ব্যাটসম্যানরা যেমন কঠিন সময় পার করে এবং রানহীন সময় কাটায়, বোলাররা একই পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। হারিসও কঠিন অবস্থায় আছে, তবে সেও সময়টা পার করে ফের শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, সে নিজেও বিষয়টা জানে। ও শুধু লাহোরেরই নয়, পাকিস্তানেরও সেরা বোলার। তাই তার ছন্দ খুঁজে পাওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতীয় দল ও পিএসএলে অধিনায়কত্ব করছেন শাহিন, বিষয়টি তিনি উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে তার ভাষ্য— ‘দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি উপভোগ করছি। নিজের সঙ্গে সঙ্গেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এটি অনেক বড় সুযোগ, কারণ কেবল লাহোর নয়, আমি পাকিস্তান জাতীয় দলকেও প্রতিনিধিত্ব করছি।’

সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়েও জানিয়েছেন শাহিন, ‘আমরা দেখছি পিএসএলে আমাদের ২০-২৫ ক্রিকেটার কেমন পারফর্ম করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এটি আমাদের সবার জন্যই ভালো সুযোগ। ঘরের মাঠে নিজেদের পক্ষে ভালো সমর্থনও পাওয়া যাচ্ছে। যা দুবাইয়ে আমরা মিস করেছি, সেখানে দর্শকরা এভাবে সমর্থন দিতে আসে না।’

এএইচএস