চার বছর ধরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। দেশটির হয়ে  ৩১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাবেক এই অলরাউন্ডার বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। টানা ব্যর্থতার দায়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এর আগে একই কারণে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ ডেভ হাটন।

পদত্যাগপত্রে ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আমাদের ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতা ও আমার দায়িত্ব নিয়ে সতর্কভাবে বিবেচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও আমার সময়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, তারপরও এটা সত্যি যে, উগান্ডার কাছে হতাশাজনক পরাজয়ের কারণে আমরাই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছি না।’

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুইয়ানদের অংশগ্রহণ করতে না পারার দায় নিজের ওপর নিলেন মাসাকাদজা। একইসঙ্গে ভিন্ন কোনো দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি আছে তার, ‘এটা আসলেই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে তলানির অধ্যায় এবং ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে পুরো দায় নিচ্ছি আমি। সিদ্ধান্তটি নেওয়া অনেক কঠিন ছিল। তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি নিবেদিত। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করব আমরা। আমি এই সংস্থার ভিন্ন যেকোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হতে মুখিয়ে থাকব।’

এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে নিজ দেশের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু তার সময়েই ক্রিকেট ইতিহাসের বড় এক বিপর্যয় দেখে আফ্রিকান দেশটি। গত নভেম্বরে উগান্ডা ও স্বাগতিক নামিবিয়ার কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারায় জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই উতরাতে ব্যর্থ দলটি তৃতীয় হয়েছিল।

জাতীয় দল সেভাবে সফলতা না পেলেও, মাসাকাদজা বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম-আফ্রো টি-টেন, মেয়েদের ফিফটি-ফিফটি চ্যালেঞ্জ ও উইমেন’স টি-টোয়েন্টি কাপ চালুর পেছনে। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় সেই আসরে সুপার টুয়েলভ-এ ওঠা দলটির হয়ে মাসাকাদজাও খেলেছিলেন।

এএইচএস