তারা কানে শুনতে পান না। মুখে কথাও বলতে পারেন না। তবে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি তাদের দমাতে পারেনি। বধির হলেও তারা বাইশগজের ক্রিকেটে খুঁজে ফেরেন জীবনের মানে, বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেন। 

গত ৬ মার্চ আরব আমিরাতের শারজাহতে পর্দা উঠেছে ছয় দেশের অংশগ্রহণে বধির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 

২০১৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বধির বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও রানার্সআপ হয় স্বাগতিকরা। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলটিকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। যদিও চলমান বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। 

বিশ্বকাপ শুরুর আগে আর্থিক সংকটের কারণে বাংলাদেশের খেলা নিয়েই একপ্রকার অনিশ্চয়তা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। তবে চার ম্যাচ খেলে কোনো জয় না পাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়াকওভার পায় ভারত। তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে ৪ উইকেটে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। 

আজ টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিকেল চারটায় শারজাহর ভিশন ক্রিকেট সেন্টারে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।