সময়টা ভালো যাচ্ছে না শাহিন আফ্রিদির। তার নেতৃত্বে পিএসএলের গত দুই আসরে লাহোর কালান্দার্স টানা শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু এবার তারা পিএসএল থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে টেবিলের তলানিতে থেকে। দলের মতো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি শাহিন। এ অবস্থায় তাকে মোহাম্মদ আমিরের বোলিং দেখে শিখতে বলেছেন সাবেক পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস।

গতকাল (শুক্রবার) পিএসএলের প্রথম এলিমিনেটরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ম্যাচটিতে হেরে আমিরদের দল কোয়েটার বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এদিন আলো ছড়িয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা পেসার। আমির ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেছেন।

লাইন-লেংথ ধরে রাখার পাশাপাশি গতির মিশেলে তিনি ইসলামাবাদ ওপেনারদের হাত খুলে খেলতে দেননি। অথচ ওপেনিংয়ে অ্যালেক্স হেলস ও মার্টিন গাপটিলই উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তাদের। ম্যাচ চলাকালেই আমিরের বোলিংয়ের প্রশংসায় মাতেন ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। দুর্দান্ত লেংথের মাধ্যমে এই পেসার ব্যাটসম্যানদের দ্বিধায় ফেলে দেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। যা দেখে তাতে সমর্থন দেন ওয়াকার ইউনিস।

ওয়াকার ইউনিস

রমিজ বলেন, ‘সে (আমির) আসলেই দুর্দান্ত বোলিং করছে, তার লেংথের দিকে দেখুন। সে নির্দিষ্ট একটি জায়গা বাছাই করে ধারাবাহিকভাবে সেখানেই বল ফেলেছে, যাতে করে ব্যাটসম্যানরা ছাড়বে নাকি খেলবে— এমন দ্বৈত মানসিকতায় পড়তে বাধ্য করেছে।’

ওই সময় তার পাশেই বসেছিলেন ওয়াকার। রমিজের কথা টেনে নিয়ে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি আশা করি শাহিন আফ্রিদিও তার বোলিং দেখছে, কারণ তারও একইভাবে (লেংথ ধরে রেখে) বল করা উচিৎ। কারণ নতুন বলে সেভাবে সুইং পাওয়া যায় না, এক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে গতি দিতে পারলেই কাজ হবে।’

এবারের পিএসএল আসরে ১০ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছিল শাহিনের লাহোর। বৃষ্টির কল্যাণে আরেকটি ম্যাচ থেকে তারা অর্ধেক পয়েন্ট লাভ করে। ব্যক্তিগতভাবে শাহিন ৯ ম্যাচে শিকার করেন ১৪ ‍উইকেট। তবে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি, ওভারপ্রতি তিনি ৮.৬১ গড়ে রান দিয়েছেন। এভাবে রান খরচের কারণে এর আগে আরেক পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামও সমালোচনা করেছিলেন শাহিনের।

পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’র টকশো অনুষ্ঠান ‘দ্য প্যাভিলিয়নে’ আকরাম বলেন, ‘আমরা সবাই দেখেছি শাহিনের পারফরম্যান্স। নতুন বল হোক বা শেষ দিকের ওভার, শাহিন হাফভলি করেছে। লেংথের কোনো ঠিক নেই। বিশ্বের সব ব্যাটার এখন জেনে গেছে, শাহিন প্রথম দুটো বল ইয়র্কার করে। এটা ওর নিজেরও বোঝা উচিৎ। শেষ দিকের ওভারে হয় স্লোয়ার কাটার করে, নয়তো স্টাম্পের সোজাসুজি বল করে। সবাই এগুলো এখন জেনে গেছে। ব্যাটাররাও সেভাবে প্রস্তুত থাকে।’

এএইচএস