ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) খেলতে নেমেও ব্যর্থ হলেন লিটন দাস। তবে তার দল আবাহনী লিমিটেড ঠিকই জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে। এদিন শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।

রোববার (১৭ মার্চ) সাভারের বিকেএসপি'র তিন নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে শিন পুকুর। জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সপ্তম ওভারেই সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় আবাহনী। ১১ বলে ১৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান আরাফাত সানি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। ১৯ বলে ৫ রান করে সানির বলে বোল্ড হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

তবে নাইম শেখের হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আবাহনী। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর আর টিকতে পারেনি তিনি। ৮৭ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৬ রান করেন নাইম। তারপর মাহমুদুল হাসান জয় এবং আফিফ হোসেনের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী। জয় ৫১ এবং আফিফ ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। মাত্র ৪৭ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় দলটি। শুরুর পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকেই ফেরান খালেদ আহমেদ। তারপর দলটির হয়ে লড়াই চালিয়ে যান আকবর আলী এবং মেহরব হাসান।

এই দুজনে মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। তুলনামূলক আগ্রাসী খেলতে থাকা আকবর আলীকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। হাফ সেঞ্চুরির পরই ফিরে যান শাইনপুকুরের অধিনায়ক। তার ব্যাটে আসে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৫ রান।

আকবর ফেরার পর আবারও ভেঙে পড়ে শাইনপুকুরের লাইনআপ। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৬৯ রান করতে পারে তারা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কেবল মেহরব হাসান। ৭৯ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আবাহনীর হয়ে খালেদ ছাড়াও তিনটি উইকেট নেন আফিফ।

এইচজেএস