বাংলাদেশের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্রিকেটারের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে হঠাৎ হইচই পড়ে গেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কলরেকর্ডটি গতকাল রাতে প্রচারিত হয় দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেরই ধারণা, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার কৌশল ছিল হয়তো। তবে ওই কলরেকর্ডের নেপথ্য ঘটনা কী তা খোলাসা করতে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় লাইভে আসছেন তামিম

এর মধ্যেই আরেক ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ফেসবুক স্টোরি যেন আলোচিত ফোনালাপ ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করল। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘দেশি ন*** বেশি লাভ। অপেক্ষা করেন বিনোদন আসতেছে’। সঙ্গে হাসির ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। 

মোসাদ্দেক হোসেনের ফেসবুক স্টোরি।

মোসাদ্দেকের এমন রহস্যময় ফেসবুক স্টোরির পর অনেকেরই জিজ্ঞাসা, কীসের বিনোদনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ‘দেশি ন*** বেশি লাভ’, এখানে আকারে ইঙ্গিতে যে, মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদকেই বুঝিয়েছেন সেটা পরিস্কার। বাকি বিষয় হয়তো তামিমের লাইভের পরই পুরোপুরি পরিস্কার হওয়া যাবে।

আলোচিত ফোনালাপে কী ছিল?

আলোচিত সেই ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা গেলেও, সেখানে পরোক্ষভাবে ছিলেন মুশফিকুর রহিমও। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা মিরাজকে জানান তামিম। ওই কথোপকথনের সারাংশ দাঁড় করালে দেখা যায়– মুশফিক তামিমের দল থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো দল গঠন করছেন। যে বিষয়টি মানতে পারছেন না তামিম, সে কারণে তিনি মুশফিককে দেখে নেবেন বলে হুমকিও দেন। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিরাজ।

নেপথ্য কী?

ফোনালাপটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণা বলে উল্লেখ করতে থাকেন। নইলে এমন ফোনালাপ ফাঁস হয় কীভাবে সেই প্রশ্নও তোলেন তারা। এর আগেও তামিম ও সাকিব আল হাসানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব একপাশে রেখে দুজনকে একত্রে দেখা যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সেটি ছিল একটি বিজ্ঞাপন দৃশ্যের অংশ। এবারও তেমন কিছুই ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে! 

এফআই