প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আম্পায়ারিং ডেভলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত করেছে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে। তাদের মধ্যে চারজন দেশের নারী আম্পায়ার– সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার এবং চম্পা চাকমা। এছাড়া ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানী দাসও ওই প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। এর আগে ১০ মার্চ তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই নারীকে বিসিবির আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। একজন সাথীরা জাকির জেসি অন্যজন মিশু চৌধুরি। ওই ঘোষণার পর জেসি এবার আইসিসি থেকেও সুসংবাদ পেয়েছেন।

বিসিবিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইসিসি চারজনকে আম্পায়ারিং ডেভলপমেন্ট প্যানেল এবং একজনকে ম্যাচ রেফারি প্যানেলে যুক্ত করার বিষয়টি জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি বিসিবি।

দেশের নারী আম্পায়ারিংয়ে ইতিহাস গড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাথীরা জাকির জেসি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি খুশি, কারণ আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ থেকে আমি আইসিসির নারী ডেভলপমেন্ট প্যানেলের অংশ। এজন্য বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাই, ওমর রতন ভাই, অভি ভাই, বুলবুল ভাই, তৌহিদ ভাই ও মুন্না ভাইসহ সবাইকে ধন্যবাদ। যারা আমার চলার পথকে সহজ করেছেন। এমন আনন্দের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। পরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির সাম্প্রতিক দুই আম্পায়ারকে যুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার আগে চুক্তিতে এতদিন কোনো নারী আম্পায়ার ছিলেন না। পুরুষ আম্পায়াররা আরও আগে থেকেই চুক্তিতে থাকলেও ছিল না নারী আম্পায়ারদের কদর। প্রাথমিকভাবে চুক্তিতে আসা দুই নারী আম্পায়ার যুক্ত হচ্ছেন ট্রেইনি হিসেবে। যে কারণে তাদের টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে বলে জানান আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, চলমান ডিপিএল দিয়েই তাদের আম্পায়ারিং শুরু হচ্ছে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে বর্তমানে ২৬ জন আম্পায়ার বিসিবির চুক্তিতে রয়েছেন।

এএইচএস