অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হয়েছে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। যেখানে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল সিরিজের সবকটি ম্যাচই একপেশে অবস্থান নিয়ে হেরেছে। সবশেষ আজ (বুধবার) সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছে টাইগ্রেসরা। এমন পারফরম্যান্সে নিজেও হতবাক হয়েছেন অধিনায়ক জ্যোতি। একইসঙ্গে সামর্থ্যের দশ ভাগও খেলতে পারেননি বলে তিনি স্বীকার করেছেন।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘১০ শতাংশও না (দিতে পারিনি)। আমি নিজেও টোটালি সারপ্রাইজড। কারণ গত ৬ মাসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, এটা একেবারেই তেমন না। পুরো দলই ব্যর্থ হয়েছে। দুয়েকটা দিকে ভুল হলে তবুও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পুরো দল ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। মনে হচ্ছে যে ব্যাকফুটে রাখছে, ফলে সামর্থ্যের ১০ ভাগও খেলতে পারিনি।’

তবে প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান জ্যোতি, ‘প্রস্তুতি অনেক ভালো নিয়েছি। যদি অনুশীলনে এক ধরনের মেন্টালিটি নিয়ে করেন, এসে অ্যাপ্লাই করেন আরেকভাবে, তখন কঠিন হয়ে যায়। কোচ বা অধিনায়ক হিসেবে বলেন, যখন দেখি খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসী, প্রস্তুতি ম্যাচে রান করছে, অনুশীলনে নিখুঁত ব্যাটিং করছে, এরপর যখন ভিন্নভাবে খেলছে—তখন আর কিছু করার থাকে না আমাদেরও। প্রস্তুতিতে সমস্যা ছিল বলে মনে হয় না।’

এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য মনস্ত্বাত্ত্বিক বিষয়কে দায়ী করলেন জ্যোতি, ‘মনে হয় মনস্ত্বাত্ত্বিক ব্যাপার। কারণ স্কিল অনুযায়ী তো সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত, তাহলে তো আগেও ম্যাচ জিততে পারত না। আমি জানি না সবার মধ্যে কী কাজ করছে। আমি তো সবাইকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেন জানি সবাই ব্যাকফুটে ছিল প্রথম ম্যাচ থেকেই। সেখান থেকে খেলোয়াড়রা আর ফিরতে পারেনি। আমরা জানি, যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে, নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলে। সেখান থেকে একেবারে ভিন্ন খেলেছে এবার।’

‘খেলোয়াড়ের মন বা মস্তিস্কের ব্যাপারটি আসলে বুঝতে পারব না। তবে অনেক সময় নেতিবাচক ব্যাপার চলে আসে। যদি ভালো শুরু না পায়, তখন মনে করে যে, “না, আমার হচ্ছে না।” যখন প্রথম ম্যাচে করতে পারেনি রান, পরের ম্যাচেও পারেনি, তখন কিন্তু নিজে থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায়। সেখান থেকে অনেকে ফিরে আসতে পারে, অনেকে পারে না। আমি বলব এটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার’, যোগ করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।

এসএইচ/এএইচএস