এক সপ্তাহ পরেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্কোয়াডে নেই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার নাম। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিজের নাম লিখিয়ে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দূর করেছিলেন এই স্পিনার। আম্পায়ারের সঙ্গে অসাদাচরণের দায়ে দুই টেস্ট বা চার ওয়ানডে বা চার টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হতেন তিনি। বিশ্বকাপে এর প্রভাব এড়াতে নাম লিখিয়েছিলেন টেস্ট সিরিজে। এরপরেই আসে নিষেধাজ্ঞা। 

তবে নিষেধাজ্ঞার পরেও হাসারাঙ্গা আইপিএল খেলবেন এমনটাই কথা ছিল। খুব দ্রুতই কমলা শিবিরে যোগ দেবেন বলেই জানিয়েছিলেন তার ম্যানেজার। অনেক বিদেশী ক্রিকেটারের মতো কম টাকার কারণে কৌশলে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না হাসারাঙ্গা এমন দাবিও করেছিলেন এই ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত ম্যানেজার।

তবে শঙ্কাটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার সময় বাঁ পায়ের গোঁড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সেই চোটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। আইপিএল থেকে তার ছিটকে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা।

আজ শনিবার দুবাইয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল হাসারাঙ্গার।  এরপরেই চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা যাবে কবে নাগাদ যোগ দেবেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। এই ক্রিকেটারের ম্যানেজারের ভাষ্য, আইপিএলে হাসারাঙ্গা অবশ্যই যোগ দেবেন। 

তবে অ্যাশলে ডি সিলভা জানালেন, ‘গোঁড়ালি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা জানিয়েছে হাসারাঙ্গার পুনর্বাসন প্রয়োজন। এজন্য সে এবারের আইপিএলে অংশ নেবে না।’ অবশ্য লঙ্কান বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণও আছে। বিশ্বকাপে এই স্পিন অলরাউন্ডার দলের বড় ভরসা। সেইসঙ্গে তিনি অধিনায়কও বটে। নতুন করে তাই তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ এসএলসি। 

বেশ প্রত্যাশা নিয়েই গতবার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দলে টেনেছিল ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে এখন পর্যন্ত দলের সঙ্গে যোগ দেননি হাসারাঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ফিরতে চেয়ে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন, এরপর থেকেই বাইশ গজে পা পড়েনি তার। 

২০২২ সালে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে হাসারাঙ্গাকে দলে নেয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এরপর ২০২৩ সালেই তাকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেবার তাকে কেনে হায়দরাবাদ, সেটাও মাত্র দেড় কোটি রূপিতে। 

জেএ