চট্টগ্রামে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে আজ (রোববার) স্বাগতিকরা ১ উইকেটে ৫৫ রান করেছে। তবে এখনও তারা ৪৭৬ রানে পিছিয়ে। ফলে লঙ্কানদের পাহাড়সম রান টপকাতে হলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্যের সঙ্গে বড় ইনিংস খেলতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের আশা দেখছেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। এ সময় হেম্প বলেন, ‘আমরা এখনও ম্যাচ জেতার আশা করছি। যদিও এটা শুনতে উদ্ভট লাগতে পারে, যখন আপনি ৪৮০ রানে (মূলত ৪৭৬) পিছিয়ে আছেন। এখান থেকে আমাদের কালকে ভালো খেলতে হবে। যদি কালকের দিনটায় দাপট দেখাতে পারি তাহলে...ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে আসলে কেউ কিছু জানে না কী হতে পারে সামনে। তবে সবার আগে আমাদের কাল তিন সেশন ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’

শেষ বিকেলে টাইগারদের ব্যাটিংটা অবশ্য খারাপ ছিল না। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লঙ্কান বোলারদের কিছুটা হলেও চাপে ফেলেছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে দিনের শেষমুহূর্তে গিয়ে জয় আউট হয়ে যাওয়ায় টাইগারদের সেই স্বস্তি আর স্থায়ী হয়নি। দিন শেষ করার আগপর্যন্ত জাকিরকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

দিনের শেষমুহূর্তে ব্যাটিং নিয়ে ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আমাদের এসব ব্যাপারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, অভ্যস্ত হতে হবে। আমার মনে হয় এখানে ভাগ ভাগ করে খেলতে পারলে বিষয়টি সহজ হয়। যেমন কেউ যদি ভাবে আজ আমি অত ভালো করতে না পারলেও কাল তা পুষিয়ে দেব। আবার ১১-১২ ওভারের খেলা দুই ভাগে করলে কত হয় ৬ ওভার? মানে হচ্ছে ৩৬ বল। ফলে আমি আজ ৩৬ বল খেলব। একটি একটি করে বল মোকাবেলা করে সময়টা দক্ষতার সঙ্গে পার করতে হবে। দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে টেস্ট ক্রিকেট বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আপনাকে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। ফলে ক্রিকেটাররা এতে অভ্যস্ত আছে। শুধু মাঠে কাজটা করে দেখাতে হবে।’

এদিন বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে ইনিংসের ১৩তম ওভারে। ভেতরের দিকে আসা লাহিরু কুমারার একটা বলে বোল্ড হয়ে যান জয়। ৪২ বলে ৩ চারে ২১ রান করে তিনি আউট হয়েছেন। তার বিদায়ের পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামেন তাইজুল। দিন শেষ হওয়ার আগে আর কোনো অঘটন ঘটতে দেয়নি জাকির-তাইজুল জুটি। জাকির হাসান ৩৯ বলে ২৮ ও তাইজুল ইসলাম ৯ বলে ০ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে ছয় ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫৩১ রান।

এসএইচ/এএইচএস