আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই গতির ঝড় তুলেছিলেন তরুণ পেসার মায়াঙ্ক যাদব। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের জার্সিতে গত শনিবার (৬ এপ্রিল) তিনি চলতি আসরের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডও গড়েছিলেন। তার সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি ছিল ১৫৫.৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তবে সেই রেকর্ড টিকল কেবল দুইদিন। গতকাল (সোমবার) দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজে গতির নতুন রেকর্ড গড়েছেন। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফো এটিকে টিভি চ্যানেলের ভুল বলে উল্লেখ করেছে।

আইপিএলের অফিসিয়াল ব্রডকাস্ট চ্যানেলের তথ্যমতে, রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হারের ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তারকা পেসার। ইনিংসের শেষ বলটি কোয়েটজে করেছিলেন ১৫৭.৪ কিলোমিটার গতিতে। যা কেবল চলতি আসরের সর্বোচ্চ রেকর্ডই নয়, আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডও। যদিও তার ওই ডেলিভারিতে চার হাঁকিয়ে রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন রায়ান পরাগ।

মুম্বাইয়ের ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজস্থান ১৫ ওভারেই ১১১ রান তুলে ফেলেছিল। ততক্ষণে মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত ‍বুমরাহ ও দারুণ বোলিং করা আকাম মাধওয়ালের ৪ ওভারের বোলিং কোটা শেষ। ফলে রাজস্থানের জয়ের জন্য যখন আর ১৫ রান বাকি, তখন ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন পেসার কোয়েটজে। তার করা প্রথম দুই ডেলিভারিতেই ছয় হাঁকান পরাগ। তৃতীয় বলটি রেকর্ড ১৫৭.৪ কিলোমিটার গতিতে করেছিলেন প্রোটিয়া পেসার, তাও রক্ষা হয়নি। সেই বলে চার মেরে পরাগ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেন। এদিকে, ২.৩ ওভারে উইকেটশূন্য থেকে ৩৬ রান খরচ করেছেন কোয়েটজে।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো এটিকে টিভি চ্যানেলের ভুল বলে উল্লেখ করেছে

আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে বল করার রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইটের নামে। অজি স্পিডস্টার ২০১১ আইপিএলে ১৫৭.৭১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার একটি ডেলিভারি করেন। সেটিই এখন পর্যন্ত ভারতীয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। অর্থাৎ, অল্পের জন্য টেইটের ১৩ বছর আগের সেই রেকর্ড ভাঙা হলো না কোয়েটজের। তবে এদিন তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড গড়ে পেছনে ফেলেছেন বেশ কয়েকজন তারকা পেসারকে।

দ্রুতগতির বোলারের তালিকায় এতদিন দুই নম্বরে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। ২০২২ আইপিএলে ফার্গুসন ১৫৭.৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার একটি ডেলিভারি করেছিলেন। এছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে সবচেয়ে জোরে বল করার রেকর্ড রয়েছে উমরান মালিকের। তিনি ২০২২ আইপিএলে ১৫৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার একটি ডেলিভারি করেন। যা নিয়ে সবমিলিয়ে তার অবস্থান ছিল তিনে। কোয়েটজে নতুন করে গতির ঝড় তুলে দুইয়ে ওঠে আসায়, সবাই এক ধাপ করে নিচে নেমে গেছেন।

আইপিএল ইতিহাসের দ্রুততম ডেলিভারি :

১. শন টেইট- ১৫৭.৭১ কিলোমিটার (২০১১)
২. জেরাল্ড কোয়েটজে- ১৫৭.৪ কিলোমিটার (২০২৪) [আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত নয়]
৩. লকি ফার্গুসন- ১৫৭.৩ কিলোমিটার (২০২২)
৪. উমরান মালিক- ১৫৭ কিলোমিটার (২০২২)
৫. এনরিখ নরকিয়া- ১৫৬.২২ কিলোমিটার (২০২০)
৬. উমরান মালিক- ১৫৬ কিলোমিটার (২০২২)
৭. মায়াঙ্ক যাদব- ১৫৫.৮ কিলোমিটার (২০২৪)

২০২৪ আইপিএলের দ্রুততম ডেলিভারি :

১. জেরাল্ড কোয়েটজে- ১৫৭.৪ কিলোমিটার [আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত নয়]
২. মায়াঙ্ক যাদব- ১৫৫.৮ কিলোমিটার
৩. মায়াঙ্ক যাদব- ১৫৩.৯ কিলোমিটার
৪. মায়াঙ্ক যাদব- ১৫৩.৪ কিলোমিটার
৫. নান্দ্রে বার্গার- ১৫৩ কিলোমিটার
৬. জেরাল্ড কোয়েটজে- ১৫২.৩ কিলোমিটার
৭. আলজারি জোসেফ- ১৫১.২ কিলোমিটার

এএইচএস